নিজস্ব প্রতিবেদক:

টেকনাফে জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার সাবরাংয়ের মুন্ডার ডেইলের বাসিন্দা প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের পূত্র সাইফুল ইসলাম(১২) নামের এক শিশুকে উদ্ধারের পর দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়ায় অপহরণকারীরা ছুরিকাঘাত করে ২ জনকে আহত করে। আহতরা অপহৃত শিশুর ফুফু সকিনা খাতুন ও পূত্র কামাল হোসেন। আহতদের গুরুতর আহতবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসময় এলাকাবাসী ৪ অপহরণকারীদের ধৃত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সোমবার(২২মে) উপজেলার সাবরাং মুন্ডার ডেইলে ঘটনাটি ঘটেছে।

আহত কামাল হোসেন জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর বাড়ি ফেরার পথে তার ফুফাত ভাই সাইফুল ইসলামকে অপহরণ করে শাপলাপুর নিয়ে গিয়ে বন্দি করে রাখে। পরে ঘটনার ৪দিন পর স্থানীয় বার্মাইয়া হাসান আহমদ তার নেতৃত্বে অপহৃনের বিষয় জানিয়ে দুই লাখ টাকা মক্তিপণ দাবি করে ওই শিশুর ফুফা নুরুল ইসলাম ও চাচীর কাছ থেকে। অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দেওয়ার আশ্বাস দিলে অপহৃত শিশুকে তার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ওসময় দাবিকৃত মুক্তিপণের দুই লাখ টাকা দিতে অপারগতা জানালে অপহরণকারীরা শিশু সাইফুল ইসলামকে আবারো অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালালে বাঁধা দিতে গিয়ে তার ফুফু সকিনা খাতুন ও ফুফাত ভাই কামাল হোসেন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের চোর চিৎকার শোনে এলাকাবাসী এসে অপহরণকারী এলাকার বড় হাবির পাড়ার জাফর আলমের পূত্র আব্দুল্লাহ, আব্দুর শুক্কুরের পূত্র মো: দেলোয়ার, আব্দুর রহমান, জাহালিয়া পাড়ার বশির আহমদের পূত্র মো. সিরাজ, মকবুল আহমদের পূত্র মো. সেলিম উল্লাহকে ধৃত করে টেকনাফ থানার উপ পরিদর্শক জাহেদের হাতে তুলে দেয়। তবে অপহরণে নেতৃত্বদানকারী বার্মাইয়া হাসান আহমদ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

ওসি রনজিত বড়–য়া জানান, ঘটনার খবর পেয়ে উপ পরিদর্শক জাহেদের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে কারো কাছ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ হাতে পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।