আরও দুই মামলায় খালেদার জামিন আবেদন

ডেস্ক নিউজ:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৃথক দুই মামলা এবং মানহানির অভিযোগে নড়াইলে দায়ের করা মামলায় জামিন আাবেদনের পর আজ (২২ মে, মঙ্গলবার) আরও দুটি মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তথ্য গোপন করে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন এবং ২০০১ সালে চারদলীয় জোট গঠন করে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর ও রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়ার অভিযোগে মানহানির মামলায় হাইকোর্টে আজ জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার (২২ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথক দুই মামলায় জামিন আবেদন দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি হতে পারে।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা এ আবেদন দায়ের করেন। এর আগে আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে অনুমতি নেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এই তথ্য জানান।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানির অভিযোগে একটি করেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ সালে জোট সরকার গঠনের পর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেন। এতে সমগ্র জাতির মানহানি হয়েছে।

২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান এই মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২০১৭ সালে ১২ নভেম্বর এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে সেই পরোয়ানা তামিল করা হয়নি। সবশেষ ১৭ মে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আগামী ৫ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে বিচারিক আদালত।

অন্যদিকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট সাংবাদিক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অপর মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার ৪টি জন্মদিন পাওয়া গেলেও ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন মর্মে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি ৪টি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী তথা জাতীয় শোক দিবসে ঘটা করে জন্মদিন পালন করছেন।

এই মামলায় ২০১৬ সালে ১৭ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে তামিল করা হয়নি। সবশেষ ১৭ মে এই মামলায়ও খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও আদেশ না দিয়ে আগামী ৫ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে বিচারিক আদালত। এই দুই মামলায়ই এখন জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হলো।