নিজস্ব প্রতিবেদক :
গণআন্দোলনের স্রোতের মুখে পড়ে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোশাররফ বলেন, আন্দোলন ঘোষণা দিয়ে হয় না। কোটা আন্দোলন দেখুন। কোনো নেতাও ছিল না। সময় আসছে। জনগণ আর আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। নিজেরাই রাস্তায় নেমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নেবে। সরকার তখন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। আর বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি এবং ২০ দল ছাড়া দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে যে নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হয়েছে জনগণ তা মেনে নিবে না। জনগণের সঙ্গে বারবার প্রতারণা করা যায় না। দেশের জনগণ অত্যন্ত সচেতন। বারবার প্রতারিত হবে না। যদি ২০১৪ এর পথে আওয়ামী লীগ হাঁটে জনগণ তা রোধ করবে। যারা মনে করছেন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় টিকে থাকবেন তা ভুলে যান। জনগণ রাস্তায় নামলে টিকতে পারবেন না।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্রের মুক্তি, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য গণআন্দোলনে কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন মোশাররফ।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে মোশাররফ বলেন, তিনি বলেছিলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়বে না। রমজানের অথচ দুদিনের মধ্যে সব বেড়ে গেছে। তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কারণ তাদের কোনো চেইন অব কমান্ড নেই।

সা্বেক এই মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃত স্বৈরাচার সরকারের কবল থেকে মুক্তি পেতে হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। আর বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি যদি অংশ না নেয় সেটা কখনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।

মোশাররফ বলেন, হাইকোর্ট জামিন দিলো, আপীল বিভাগও জামিন দিলো। কিন্তু সরকার অন্যান্য মামলা নিয়ে যেভাবে পরিকল্পনা করছে এবং খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে নির্বাচন করতে চায়, সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। জনগণ তা মেনে নেবে না।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির সহ-সভাপতি মুহম্মদ ফরিদউদ্দিন, কৃষক দল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো: আনোয়ার প্রমুখ।