কাজী জহির উদ্দিন তিতাস :

এ প্রজন্মের আলোচিত কবি শফিকুল ইসলাম। তারুণ্য ও দ্রোহের প্রতীক তিনি। চ্যানেল নিউজের পক্ষ থেকে ২৬এপ্রিল, ২০১৮ গৃহীত কবি শফিকুল ইসলামের লাইভ সাক্ষাৎকারটি নীচে দেয়া হলঃ–

চ্যানেল নিউজ : প্রথমে শুরু করা যাক জন্ম থেকেই। আপনার জন্ম কত সালে এবং কোথায়?

উত্তর: আমার জন্ম ১০ই ফেব্রুয়ারী, সিলেট জেলা শহরের শেখঘাট এলাকার খুলিয়াপাড়ায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুর দিকে আমাদের পরিবার সিলেট জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে বাগবাড়ী এলাকায় বসবাস শুরু করে।

চ্যানেল নিউজ : আপনার বিস্তারিত পরিচয় বলুন প্লিজ।

উত্তর: আমার পিতার নাম মনতাজ আলী। তিনি পেশায় একজন কাষ্টমস অফিসার ছিলেন। আমার মাতার নাম শামসুন নাহার। তিনি একজন গৃহিণী ছিলেন। পরিবারে সাত ভাই-বোনদের মধ্যে আমি বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান। আমি সিলেট জেলার এইডেড হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও মদন মোহন মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হই। পরবর্তীতে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও সমাজকল্যাণে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করি। এছাড়া এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে এম,এ ইন ইসলামিক ষ্টাডিজ ডিগ্রী অর্জন করি। এছাড়া আমি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ে এলএলবি (অনার্স) অধ্যয়ন করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে শিক্ষাজীবনে অনন্য কৃতিত্বের জন্য স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হই।

চ্যানেল নিউজ : কবিতা লেখায় আপনার হাতেখড়ি কতসালে এবং কিভাবে আপনি কবিতা লেখায় নিজেকে আত্ম নিয়োগ করেন?

উত্তর : আমার কাব্য চর্চা শুরু ছাত্রাবস্থায় ১৯৭৫ সালে ক্লাস সেভেনে থাকাবস্থায়। মদনমোহন কলেজে পড়াবস্থায় আমার সম্পাদনায় স্পন্দন নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। সেখানে আমার লেখা কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয়। সিলেট মুসলিম সাহিত্য সংসদের উন্মুক্ত চত্বরে কবিতা পাঠের আসরের মাধ্যমে আমার প্রথম জনসম্মুখে আত্মপ্রকাশ ঘটে।

চ্যানেল নিউজ : এ পর্যন্ত আপনার কতটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে?

উত্তর : এ পর্যন্ত আমার ৭টি কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থগুলো হলো এই ঘর এই লোকালয়, একটি আকাশ ও অনেক বৃষ্টি, তবু ও বৃষ্টি আসুক, শ্রাবণ দিনের কাব্য, দহন কালের কাব্য, প্রত্যয়ী যাত্রা। গীতি সংকলন ঃ মেঘ ভাঙ্গা রোদ্দুর। এছাড়াও ৫ খন্ড বিশিষ্ট গীতিকবিতার সংকলন বেড়িয়েছে। তাছাড়া আমার কাব্যগ্রন্থ বিদেশী ভাষায় ও অনূদিত হয়েছে।

চ্যানেল নিউজ : আমরা যতটুকু জানি আপনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভূক্ত গীতিকার। এ পর্যন্ত কতটি গান বাংলাদেশ বেতার ও টেভিশনে প্রচারিত হয়েছে?

উত্তর : বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার হিসেবে এ পর্যন্ত আমার অনেক গান বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছে এবং বেশ জনপ্রিয়তা ও পেয়েছে।

চ্যানেল নিউজ : আপনি বেশ কয়েকটি পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এগুলো বলবেন কি?

উত্তর : আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে সাহিত্যে অবদানের জন্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছি। ছা্‌ত্রজীবনে ১৯৮১সালে তৎকালীন ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক একুশে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে দেশব্যাপী আয়োজিত সাহিত্য প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশ পরিষদ সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত হই। এছাড়া আন্তর্জাতিক লেখক দিবস উদযাপন পরিষদ কর্তৃক লেখক সম্মাননা পদক-২০০৮ প্রাপ্ত হই। আমি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এওয়ার্ড, ডঃ মোহাম্মদ শহীদুলস্নাহ এওয়ার্ড ও বাংলাদেশ পোয়েটস এওয়ার্ড পেয়েছি। সমপ্রতি জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ তবুও বৃষ্টি আসুক এই কাব্যগ্রন্থের জন্য আমি নজরুল স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হই। মোবাইল ফোনে গুগল প্লে ষ্টোরের সার্চ বক্সে Tobuo Bristi Asuk / তবু ও বৃষ্টি আসুক লিখে বইটি ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সাহিত্য ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য বিভিন্ন পদকে ভূষিত হই।

চ্যানেল নিউজ : কর্মজীবনে আপনি কখন কোথায় চাকুরী করেছেন এবং কোন পদে?

উত্তর : আমি কর্মজীবন শুরম্ন করি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদে ১৯৮৯ সালে। অতপর কুষ্টিয়া জেলায় ডিসি অফিসে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করি। অতপর আমি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় নিয়োগ লাভ করি। তার মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর উপজেলায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলায়, চট্টগ্রামের বাশখালি উপজেলায় সহকারী কমিশনার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করি। ঢাকায় আমি ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনে জেনারেল ম্যানেজার এবং সিএমএম কোর্টে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এছাড়া ও আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছি। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডিতে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপ সচিব পদে কর্মরত ছিলাম। বর্তমানে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব পদে কর্মরত। সরকারী কাজে আমি যে সব দেশ ভ্রমণ করেছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বৃটেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুর।

চ্যানেল নিউজ : চাকুরীকালীন সময়ে আপনি কোন জেলার মানুষের কাছ থেকে বেশী ভালবাসা পেয়েছেন?

উত্তর : চাকুরী করা কালীন সময়ে আমি প্রত্যেক জেলায়ই মানুষের কাছ থেকে ভালবাসা পেয়েছি। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাকাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সাথে আমার একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠে এবং আমার সাহিত্য ও সংগীত রচনায় তাদের কাছ থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি।

আপনার তবু ও বৃষ্টি আসুক’ কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা তবু ও বৃষ্টি আসুক’ সম্পর্কে কিছু বলুন।

উত্তর : তবু ও বৃষ্টি আসুক’ একটি ম্যাসেজধর্মী কবিতা। এটি একটি রূপক কবিতা। বৃষ্টি প্রতীকের মাধ্যমে কবিতায় মানবতা ও বিবেক বর্জিত সমাজে মানবতা ও বিবেকের পুনঃপ্রত্যাবর্তন কামনা করা হয়েছে। সমাজে সর্বত্র মানবতা ও বিবেকের দুর্ভিক্ষ চলছে। তাই আমার কবিতায় মানবতা জাগ্রত হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। আমি আমার তবু ও বৃষ্টি আসুক’ কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা তবু ও বৃষ্টি আসুক’ থেকে এ সম্পর্কিত কয়েকটি চরণ পাঠ করছি ঃ–

তারও আগে বৃষ্টি নামুক আমাদের বিবেকের মরুভূমিতে

সেখানে মানবতা ফুল হয়ে ফুটুক-

আর পরিশুদ্ধ হোক ধরা, হৃদয়ের গ্লানি॥’’

(কবিতাঃ তবু ও বৃষ্টি আসুক)

কবি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাই।

উত্তর : কবি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বাংলাভাষার কবি হলেও বাংলাদেশের কবি নন, তারা জন্মসূত্রে পশ্চিমবঙ্গের কবি, ভারতীয় কবি। যে সময় তাদের একজনকে ভারত থেকে আমদানী করে জাতীয় কবি এবং অপরজনের কবিতাকে জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা করা হয় তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে পৃথক সার্বভৌম রাষ্ট্র হয়েছে। তারা তখন জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিক। ব্রিটেন ও আমেরিকা এ দুটি দেশের ভাষা ইংরেজী। তাই বলে তারা অপর দেশের কবিকে জাতীয় কবি ও অপর দেশের কবির কবিতাকে জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা করেনি। এটা বাংলাদেশীদের হীনমন্যতাবোধ।

চ্যানেল নিউজ : কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার বনলতা সেন সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?

উত্তর : বনলতা সেন সম্পর্কে আমি বলব পাঠক বনলতা সেনকে নারী হিসেবেই কল্পনা করেন। বনলতা সেন নামটি পুরুষ কিংবা নারী যে কারোরই হতে পারে। কাজেই বনলতা সেন এই নাম দ্বারা তিনি যে একজন নারী ছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাছাড়া বনলতা সেন কবিতায় বনলতা সেনের যথেষ্ট দৈহিক বর্ণনা কিংবা পোশাক পরিচ্ছদের কোন বর্ণনা পাওয়া যায়না। অন্ধকার বিদিশার নিশার মত চুল, শ্রাবস্তীর কারুকার্যের মত মুখ এবং পাখীর নীড়ের মত চোখ নারী কিংবা পুরুষ যে কারো থাকতে পারে। কাজেই বনলতা সেন একজন পুরুষ ছিলেন এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। তাই আমি বলব, কবি জীবনানন্দ দাসের বনলতা সেন কবিতাটি বহু মাত্রিক কাব্যিক বিশেস্নষণ থেকে বঞ্চিত।

চ্যানেল নিউজ : আপনার কাব্যে বহুবার সুলতা নামে একটি চরিত্র উঠে এসেছে, এ সম্পর্কে কিছু বলুন।

উত্তর : কবি জীবনানন্দ দাসের কাব্যে যেমন বনলতা সেন, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাব্যে যেমন নীরা নামে নারী চরিত্র রয়েছে তেমনি আমার কাব্যেও সুলতা নামে একটি নারী চরিত্র রয়েছে যিনি আমার কাব্য প্রেরণার অন্যতম উৎস।

চ্যানেল নিউজ : সুলতা’ চরিত্রটি কোন প্রতীকি চরিত্র নাকি বাসত্মব চরিত্র?

উত্তর : সুলতা চরিত্রটি আসলে সম্পূর্ণ বাস্তব চরিত্র একথা বলা যাবে না। তবে এটি বাস্তব এবং কল্পনার মিশ্রণে তৈরী একজন মোহময়ী মানবীর মায়াবী প্রতিচ্ছবি। পুরনো শহর স্মৃতির শহরে তার সাথে আমার দেখা হয়েছিল এবং তাকে আমি এক পর্যায়ে হারিয়ে ফেলি। আমার শ্রাবণ দিনের কাব্য গ্রন্থে তার সাথে আমার অনেক আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে।

চ্যানেল নিউজ : এখন আসা যাক অন্য প্রসঙ্গে, আমাদের দেশের যুব সমাজের অধপতন কেন এবং কি কারণে হচ্ছে তা বলবেন কি?

উত্তর : আমাদের দেশের যুব সমাজের অধপতনের কারণ হলো, যুব সমাজের সামনে আদর্শবান ও অনুসরণীয় ব্যক্তিদের অনুপস্থিতি। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমন এ বিষয়ে কোন বা্স্তব পদক্ষেপ দৃশ্যমান না থাকায় যুব সমাজ ক্রমশ অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে।

চ্যানেল নিউজ : যুব সমাজকে অধপতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য দেশের জনসাধারণ এবং সরকারের কার কি করা প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?

উত্তর : যুব সামজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রড়্গা করতে যুব সমাজের সামনে সমাজের আদর্শবান ও গুণীজনদের উপযুক্ত মর্যাদাসহকারে তুলে ধরতে হবে। সমাজে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমাজের আদর্শবান ব্যক্তিদের যথোপযুক্ত মর্যাদাদান ও দুর্জনদের প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে হবে।

চ্যানেল নিউজ : সারা দেশে মাদকের আগ্রাসন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এ থেকে রক্ষার জন্য আমাদের করণীয় কি?

উত্তর : মাদকের আগ্রাসনে দুটি পক্ষ জড়িত। এক, মাদক সরবরাহকারী এবং দুই,মাদক সেবনকারী। মাদকের আগ্রাসন রোধ করতে প্রথমেই মাদক সরবরাহকারী বা ব্যবসায়ীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। দ্বিতীয়ত,মাদক সেবনকারীদের দিক থেকে প্রথমেই বলতে হয়, যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে মাদকের কুফল সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি অভিভাবকগণকেও এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মাদকের সহজলভ্যতা যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যুবসমাজে যে বেকারত্ব ও হতাশা আছে তা থেকে পরিত্রাণ লাভের উপায় খুজতে হবে। যুব সমাজকে সুস্থ বিনোদন ও সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত রাখতে হবে। তবেই যুব সমাজ মাদক সেবন থেকে সরে আসবে।

চ্যানেল নিউজ : বর্তমানে বেকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে, শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমাগত। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?

উত্তর : বেকার সমস্যা দূরীভূত করতে হলে সমাজে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরী শিক্ষার প্রসার বাড়তে হবে। দেশে অধিক সংখ্যক মিল কারখানা চালু করতে হবে। এছাড়া তরুণ সমাজকে সরকারীভাবে কর্মসংস্থানের মুখাপেক্ষী না হয়ে স্বকর্মসংস্থান বা আত্ম কর্মসংস্থানের মাধ্যমে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই দেশ বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।

চ্যানেল নিউজ : চ্যানেল নিউজের দর্শকেদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

উত্তর : চ্যানেল নিউজ সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখায়। দর্শকদের উদ্দেশ্যে আমি বলব, আপনারা চ্যানেল নিউজের সাথেই থাকুন সব সময়, সর্বক্ষণ। চ্যানেল নিউজের অগ্রযাত্রায় অব্যাহত পৃষ্ঠপোষকতা করম্নন।

চ্যানেল নিউজ : সুপ্রিয় দর্শকমন্ডলী এতক্ষণ আপনারা দেখলেন কবি শফিকুল ইসলামের সরাসরি সাক্ষাৎকার। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে চ্যানেল নিউজের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।