প্রধান সড়ক লালদীঘির পাড়, বিরাম রেস্তোঁরা ও বিরানী হাউস থেকে তোলা ছবি

সাইফুল ইসলাম :

মাহে রমজানের প্রথম দিনেই জমে উঠেছে কক্সবাজার শহরের ফুটপাতসহ বিভিন্ন হোটেল রেস্তোঁরায় হরেক রকমের ইফতারের সমাহার। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সিয়াম-সাধনার রমজান মাস। বৃহস্পতিবার রাতে তারাবির নামাজ আদায় ও শেষ রাতে সাহরী খাওয়ার মধ্যদিয়ে মুসলমানরা রমজান মাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এর মাঝে মসজিদগুলোতে তারাবিহর নামাজে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন রকমারি ইফতার সংগ্রহে শহরের মোড়ে মোড়ে রাস্তার পাশে ইফতারের দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।

বিকেল ৪টার পর থেকেই ইফতারের দোকানগুলোতে বাড়তে থাকে ক্রেতা সমাগম। ইফতারের পূর্বেই ক্রেতাদের চাহিদামত ইফতার সরবরাহ করতে দোকানীদেরও হিমশিম খেতে দেখা যায়। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফুটপাতের পাশাপাশি উন্নত মানের হোটেল রেস্তোঁরার সামনে বিভিন্ন প্রকার ইফতার দিয়ে সাজানো হয়। রকমারি ইফতারি দাম গত বছরের চেয়ে স্বস্তি আছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই।

শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এই বছর কম দামে বিক্রি হচ্ছে ইফতার সামগ্রী। যেহেতু নিত্যপণ্যের দ্রব্য সামগ্রীর দাম গত বছরের তুলনায় একটু কমছে বলে জানান বিক্রেতারা।

বিক্রেতা আব্দু সালাম জানান, ইফতারির দাম গত বছরের চেয়ে একটু কমছে কিন্তু সাইজ আগের মতো রয়েছে। তিনি তার পরিবারের ৬ জনের জন্য পিটিস্কুল বাজার এলাকায় এসেছেন ইফতারী সামগ্রী কিনতে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আলুর চপ, ছোলার ঘুগনি, বেগুনি, পেঁয়াজু, ফ্লোরি ও শাহী জিলাপী, ইত্যাদি গত বছরের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে দোকানে। রমজান উপলক্ষে রাস্তার পাশের মৌসুমী ইফতারির দোকানগুলোতে ভিড় ছিল লক্ষণীয়। এসব দোকানে চনা ১ কেজি ১২০ টাকা, শাহী জিলাপি ১ কেজি ১৬০ টাকা, বেগুনি একপিচ ৫ টাকা, পেঁয়াজি, ২ থেকে ৩ টাকা ও আলুর চপ ১ পিচ ৫ টাকা , মরিচ্যা ১ পিস ৫ টাক বিক্রি হচ্ছে দোকানে। ১শ’ গ্রাম ঘুগনি বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৫ টাকায় এবং প্রতি পিচ শাহী জিলাপি বিক্রি হয় ৫ টাকা। এছাড়া হোটেল ও রেস্টুরেন্টেও বিভিন্ন ও নাম স্বাদের ইফতার সামগ্রী বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব স্থানে ইফতারি হিসেবে জায়গা করে নিয়ে ভেজিটেবল পাকুরা, ডিম চপ, চিকেন ছমুচা, বীফ টিকা, চিকেন ফ্রাই, চিকেন, মাটন, জালি কাবাব, চিকেন জালি, হালিম, ফিরনি, কুমড়া হালুয়া, চিকেন টেংরি কাবাব, চিকেন বটি কাবাব, চিকেন চিলি, চিকেন সাসলিক, ইত্যাদি।

বিরাম সেস্তোঁরা ও বিরাণী হাউস এর প্রোপ্রাইটর আমিন শরীফ জানান, রমজানের ইফতার গত বছরের চেয়ে একটু কম দামে বিক্রি করেছি দোকানে। যেহেতু কিছু কিছু দ্রব্য মূল্যের দাম স্বস্তি থাকায় ইফতারের দামও একটু কমেছে। তবে ইফতারের প্রায় ১ ঘন্টা পূর্বেই সব ইফতারি বিক্রি হয়ে গেছে দোকানে। অর্থাৎ প্রথম দিনেই জমে উঠেছে ইফতারির বাজার।