বাজার মনিটরিং করছেন ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আশরাফ জয়।

সাইফুল ইসলাম:

প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশ দেওয়ার পরেও কক্সবাজার শহরের কাঁচাবাজার ও দোকানে এখনো টাঙ্গানো হয়নি পণ্যের সঠিক দাম দ্রব্য মূল্যে তালিকা। তবে বড় বাজারের কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি দোকানে দ্রব্য মূল্যের তালিকা টাঙ্গানো হলেও বেশির ভাগ বাজার ও দোকানে টাঙ্গানো নেই বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। পাশাপাশি কয়েকটি বাজারে দ্রব্য মূল্যের তালিকায় কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন পণ্যের নাম লেখা থাকলেও টাকার অংশটি খালি রয়েছে। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছে মানুষ।

জানা যায়, বাজার মালিক সমিতি, খুচরা এবং পাইকারি বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পবিত্র রমযানে দ্রব্য মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রশাসনের পক্ষে থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি কাঁচাবাজার ও দোকানে মূল্য তালিকা টাঙ্গিয়ে দিতে ও ডিজিটাল ওজন পরিমাপক মেশিন স্থাপন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ নানা বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।

গতকাল শহরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছ, পিটিস্কুল বাজার, কালুর দোকান বাজার ও কানাই বাজার, বাহারছড়া বাজারসহ বেশির ভাগ বাজার ও দোকানে সঠিক দ্রব্য মূল্যের তালিকা টাঙ্গানো হয়নি। যে কয়েকটি দোকান ও বাজারে দেখা গেছে তাতে দাম বেশি বলে ধারণা করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

তবে কয়েকদিনের ব্যবধানে বেগুন, চিনি, পেঁয়াজসহ কিছু কিছু পণ্যের দাম আগের চেয়ে ২/৩ গুন দাম বাড়তি দামে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। পাইকারী বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কালুর দোকান এলাকার মো. রহিম নামে এক রিক্সা চালক বলেন, আজ থেকে রমজান মাস শুরু হয়েছে। অথচ আগে সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত রিক্সা চালিয়ে আয় হতো ৫’শ টাকা। ততমধ্যে থেকে ১২০ টাকা রিক্সা বাড়া চলে গেলে বাকী থাকতো ৩৮০ টাকা। তা নিয়ে কোন রকম সংসার চলতো। এখন রোজা রেখে কিভাবে ৫’শ আয় করবো চিন্তায় আছি। তারমধ্যে আবার নিত্যপণ্যের দামও বাড়তে চলছে। যদি আগের চেয়ে বেশি দাম বেড়ে যায় না খেয়ে থাকতে হবে। এ জন্য রমজানে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বাজার পরিদর্শনে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন। কয়েকদিন পূর্বে রমজানে দ্রব্য মূল্যে সহনীয় রাখতে ও দোকানে দ্রব্য মূল্যের তালিকা টাঙ্গানোর জন্য শহরের বড় বাজার, কালুর দোকান বাজার, বাহাড়ছড়া বাজার, কলাতলী বাজার, রুমালিয়ারছড়া বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয়,জুয়েল আহমেদ এবং খোরশেদ আলম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় তারা ব্যবসায়িদের রাস্তার উপর পণ্য রেখে গাড়ী চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা, পণ্যের সঠিক দাম মূল্য তালিকায় টাঙ্গিয়ে রাখা, কোন ভাবেই দাম বাড়িয়ে না রাখা এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানী না করার জন্য ব্যবসায়িদের প্রতি নির্দেশ দেন। এর ব্যতিক্রম হলে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান। জেলা প্রশাসন কর্তৃক ভ্রাম্যমান আদালত রমজান শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।