মোহাম্মদ ফারুক , পেকুয়া :

পেকুয়ায় ভাবি তাহমিনা আক্তারের দেওয়া বিষ মিশানো পানি পান করে বাকপ্রতিবন্ধি (বোবা) রিনা নামের ননদের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলহাসুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ভাবিকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে দিলে পুলিশ পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেই।

এদিকে খালা মনিকে দেখতে সকালে মায়ের সাথে হাসপাতালে যান ভাগিনা। পরে বাড়িতে গিয়ে খেলার ফাঁকে পুকুরে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ওই ভাগিনার। দু’পরিবারে চলছে এখন শোকের মাতাম।

রিনার মা মরিয়ম জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ভাবি তাহমিনা আক্তার ও ননদ রিনা আক্তার (২০) খৈয়ের লাডু খান। রিনা ইশারায় ভাবির কাছে পানি চায়। এ সময় ভাবি কৌশলে পানির সাথে বিষ মিশিয়ে দেয়। পানি পান করার কিছুক্ষনের মধ্যে রিনা ব্যাথায় ছটফট করলে বাড়ির লোকদের সন্দেহ হয়। ওই সময় তার মুখে বিষের গন্ধ ফেলে স্থানীয়রা ভাবিকে অবরুদ্ধ করে ননদকে নুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ১দিন ওখানে থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল ৪টায় চমেক হাসপাতালে রিনার মৃত্যু হয়। আমার বোবা মেয়েকে পুত্রবধু বিষ মিশিয়ে হত্যা করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

এদিকে রিনা মৃত্যুর আগে হাসপাতালে ছোট বোনকে দেখতে আসে বড় বোন সেতেরা বেগম। মায়ের সাথে আসে ৫ বছর বয়সের ইয়াসিন। দুপুরে হাসপাতালে স্বজনদের জন্য খাবার আনতে ইয়াসিনকে নিয়ে বারবাকিয়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়ায় নিজ বাড়িতে ফিরেন সেতেরা। সেতেরা বেগম জানায়, হাসপাতালে খাবার নেয়ার জন্য রান্না করছিলাম। কোন এক সময় ইয়াসিন অগোচরে পুকুরে পড়ে যায়। উদ্ধার করে ডাঃ মুজিবের ক্লিনিকে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষনা করেন। ছেলেকে হারানোর শোক না কাটতেই বোনকে হারালাম। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। এর বিচার চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম জানায়, বিষয়টি জানার পর গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। পেকুয়া থানায় অবগত করলে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।