রসমালাই ও মিষ্টি পাঠিয়ে দোয়া চাচ্ছেন যমজ ছেলের বাবা রেলমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ:

যজম দুই ছেলের বাবা হয়ে বেশ আনন্দিত-উৎফুল্ল ও ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন রেলপথমন্ত্রী ও কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হক মুজিব। সংসারে দুই নতুন অতিথির আগমনের শুভক্ষণে উপহার হিসেবে তিনি দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও স্পিকারের বাসায় কুমিল্লার রসমালাই ও ছানামুখী মিষ্টি পাঠিয়ে দোয়া কামনা করছেন।

কুমিল্লার বিখ্যাত রসমালাই ও ছানামুখী মিষ্টি নেয়ার পর মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। মন্ত্রী নিজেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণবভনে রসমালাই ও মিষ্টি নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার (১৪ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনে দুই ছেলের জন্ম দেন রেলমন্ত্রীর স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালের ৯২২নং কেবিনে রয়েছেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও আনন্দে উদ্বেলিত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ওই দম্পতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে হাসপাতালে ভিড় করেন। কিন্তু সেখানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকায় অনেকেই অভ্যর্থনা বিভাগে ফুল রেখেই চলে আসেন। এছাড়াও দিনভর মোবাইলে কল করে মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। কুমিল্লা নগরী ও মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা চৌদ্দগ্রামে নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস করে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে আসেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। এ সময় তিনি হাসপাতালের কেবিনের পাশে অপেক্ষমাণ কক্ষে জাগো নিউজের এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি দুই ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছি, এ আনন্দের অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়া ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়, আল্লাহর কাছে এ জন্য শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি।’

দুই ছেলের নাম রাখার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিবারের রীতি অনুসারে মিলাদ পড়িয়ে নাম রাখবো’।

তিনি বলেন, আমার নাম অনুসারেই (আংশিক ঠিক রেখে) দুই ছেলের নাম রাখবো ইনশাল্লাহ।

মন্ত্রী বলেন, আমার দুই ছেলে ও তাদের মায়ের জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর নিকট দোয়া চাচ্ছি, বর্তমানে আমার ছেলেরা ও তাদেও মা সুস্থ আছেন। কুমিল্লার রসমালাই ও ছানামুখী মিষ্টি উপহার পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, উপদেষ্টাসহ অন্যান্যদের নিকট দোয়া কামনা করছি, এরই মধ্যে কুমিল্লা থেকে প্রয়োজনীয় রসমালাই ও মিষ্টি আনা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেই আমার রাজনৈতিক অভিভাবক ও দিকনির্দেশক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে মঙ্গলবার রাতেই রসমালাই ও মিষ্টি নিয়ে যাব ও তার নিকট দোয়া চাইব।’

আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকেও সবাইকে মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করবেন বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।

২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর ৬৭ বছর বয়সে কুমার জীবনের ইতি টেনে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মিরাখলা গ্রামের অ্যাডভোকেট হনুফা আক্তার রিক্তাকে রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে করেন রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। পরে ২০১৬ সালের ২৮ মে তাদের মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম জান্নাতুল মাওয়া (রিমু)। দুই বছর পর আবারও সেই মে মাসেই সোমবার রাতে যমজ ছেলের বাবা হলেন রেলমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের ৩১ মে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুুুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে মুজিবুল হক জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে তিনি চৌদ্দগ্রাম সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

অপর দিকে ১৯৮৫ সালের ২০ মে হনুফা আক্তার রিক্তা জন্মগ্রহণ করেন। এলএলবি ডিগ্রিধারী হনুফা বর্তমানে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশ লিমিটেডের আইন উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন।