প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’র কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন আরবী ক্যালেন্ডারের নবম মাস রমজান। মহান আল্লাহ রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের বার্তা দিয়ে এই রমজান মাসকে মুসলমানদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নানা ফজিলত, তাৎপর্য ও শিক্ষা নিয়ে প্রতি বছর এ মাসটির আগমনে মুমিন-মুসলমানের জীবনে নেমে আসে সংযম ও পূণ্য লাভের মহোত্তম সুযোগ। পূণ্যময় এ মাসকে তাকওয়া অর্জনের জন্য এবং নানা ইবাদত-বন্দেগী পালন করে ¯্রষ্টার নৈকট্য হাসিলের উপায় হিসেবে নেয়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পাশপাশি এ মাস থেকে নেয়া শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সারা বছর জুড়ে নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করাই হবে প্রত্যেক মুসলমানদের প্রধান লক্ষ্য। কেননা রোজার মাধ্যমে বান্দা আত্মশুদ্ধি অর্জন করে থাকে। সে সাথে এক মাস রোজা রেখে বাকি এগারো মাস নিজেকে পাপমুক্ত রাখার সংকল্প গ্রহণ করার সুযোগ পায়। পাশাপাশি রোজা মানুষকে গরিব-দুঃখীর কষ্ট অনুধাবনে সহায়তা করে। মুসলমানরা রোজার মাধ্যমে সহমর্মিতা ও সহনশীলতার শিক্ষা লাভ করেন। এ মাস ধৈর্য্য, ত্যাগ ও সবরের। ধৈর্য্যরে প্রতিফল হিসেবে আল্লাহর নিকট থেকে জান্নাত লাভ করা যাবে। এ মাসে আল্লাহ মুমিন বান্দাদের রিযিক প্রশস্ত করে দেন। এ মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে এর বিনিময়ে তার পাপসমূহ ক্ষমা করে এবং জাহান্নাম হতে তাকে মুক্তি ও নিষ্কৃতি দেয়া হবে। আর ঐ ব্যক্তিকে আসল রোযাদারের সমান সাওয়াব দেয়া হবে। তাই তিনি পবিত্র এ মাসে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সীমিত রাখা, খোদাদ্রোহী নাস্তিকদের সব অপতৎপরতা রুখে দিয়ে বেশি পরিমাণ কুরআন অধ্যয়ন, সকল প্রকার অশ্লীলতা, মদ-জুয়া, দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শিবিরের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে আয়োজিত র‌্যালী পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (১৫.০৫.’১৮) এসব কথা বলেন। নগর উত্তর শিবির সেক্রেটারী আ স ম রায়হান’র পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন নগর উত্তর সভাপতি আহমেদ সাদমান সালেহ, শিবির নেতা কামাল হোসাইন, আমান উল্লাহ, আবু জোবায়ের, আহসান উল্লাহ, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

নগর উত্তর সভাপতি আহমেদ সাদমান সালেহ বলেন মানুষের হেদায়েতের জন্য মানব জাতির জীবন বিধান পবিত্র আল-কুরআন রমযান মাসেই নাযিল করা হয়েছে। এমাসে আল্লাহর প্রিয় বান্দার তালিকায় নিজের অবস্থান তৈরির জন্য সবাইকে যত বেশি সম্ভব কুরআন অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি কুরআনের আলোকে সমাজ প্রতিষ্ঠায় মনের সকল কুপ্রবৃত্তি দূর করে শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি সোনালী সমাজ গঠনে সাধ্যমত সবাইকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নিজেদের জীবনে কুরআনের পূর্ণ অনুশীলন ছাড়া আমরা কখনোই ঈমানদার মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারবো না। ঈমানহীন ব্যক্তি পরকালীন জীবনের কঠিন আযাব থেকে কোন ভাবেই মুিক্ত পাবেনা যা সৃষ্টিকর্তা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন।

বক্তারা পবিত্র এই মাসের সুযোগ সর্বোচ্চ পরিমাণে কাজে লাগিয়ে আদর্শিক জ্ঞানে নিজেকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গঠনে মনোনিবেশ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন সম্বলিত মাহে রমজানের স্বাগত র‌্যালীটি নগরীর আন্দরকিল্লা থেকে শুরু হয়ে দিদার মার্কেট এলাকায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।