ডেস্ক নিউজ:
বদলে গেল পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম। এই মন্ত্রণালয়ের নতুন নাম ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়’ করা হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা আগে থেকেই প্রস্তাব হয়ে আসছে। আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নামের সঙ্গে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ যুক্ত করা হয়েছে। এখন এই মন্ত্রণালয়ের নাম- ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়’ অনুমোদন করা হয়েছে। এর ইংরেজি নাম হবে ‘মিনিস্ট্র অব এনভায়রনমেন্ট, ফরেস্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু একটি বড় বিষয়, এজন্য পরিবর্তনটাকে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।’

কী কারণে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, এতে কী সুবিধা হবে- জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘সারাবিশ্বেই এখন ক্লাইমেট চেঞ্জ (জলবায়ু পরিবর্তন) আলোচনায় চলে আসছে। প্রকৃতিতেও চেঞ্জ চলে এসেছে। ঝড়, বৃষ্টি, আগাম বন্যা- কত রকমের প্রাকৃতিক চেঞ্জ আমরা এমনি দেখতে পাচ্ছি। সেটা এখন শুধু বাংলাদেশে না সারা বিশ্বেই প্রাকৃতিক পরিবর্তন অটোমেটিক্যালি চলে এসেছে। এজন্য এই বিষয়টি এখন আর বাংলাদেশের সাবজেক্ট নয়। সারাবিশ্বেই ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে।’

‘বাংলাদেশ কিন্তু ক্লাইমেট চেঞ্জের ক্ষেত্রে পাইওনিয়ার। কারণ যখন কেউ ক্লাইমেট ফান্ড করার জন্য টাকা দেয়নি, তখন আমাদের সরকারের নিজস্ব টাকা দিয়ে ক্লাইমেট ফান্ড তহবিল গঠন করা হয়। আমরা সেটা দিয়ে শুরু করি। দাতাদের বা পার্টনাদের টাকা দিয়ে শুরু করিনি। এটা দিয়ে অনেক দুর্যোগ মোকাবেলা করা হচ্ছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নামে ক্লাইমেট চেঞ্জ শব্দটি থাকলে ক্লাইমেট চেঞ্জ সংক্রান্ত যেসব অ্যাকটিভিটিস আসবে সেগুলো আমরা অ্যাড্রেস করতে পারব।’