জে,জাহেদ :

এক  অভিনব প্রতারণা। কিভাবে মাথায় আসলো জানিনা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পির কাছে থেকে মোবাইল ফোনে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আর এ প্রতারণায় কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি ও গাজীপুরের টঙ্গী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রামের পটিয়া থানার শোভনদন্ডি (আশাতা) এলাকার জাফর আহমদের ছেলে এহসানুল হক ওরফে হাসান (২৪) এবং একই এলাকার মোজাম্মেল হকের স্ত্রী রুনা ইসলাম (২৮)।

তারা মোবাইল ফোনে কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে। শুক্রবার দুপুরে আদালতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

সদর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পির মোবাইল ফোনে কল আসে।

রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে তাকে বলা হয়- তিনি কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি আব্দুর রহমান বদি বলছেন।

প্রতারক এহসানুল হক ওরফে হাসান ও রুনা ইসলাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে তার এলাকার (কক্সবাজারের) লোক ভর্তি আছে। এখন চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার। এমপি বাপ্পিকে দেওয়া হয় বিকাশ নম্বর।

চিকিৎসার কথা শুনে এমপি বাপ্পি তার ভাই জহিরুল ইসলাম জহিরকে বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বলেন।

জহির বিকাশের ২টি নম্বরে ৩০,০০০ টাকা পাঠায়। পরে সন্দেহ হলে বিষয়টি জেলা পুলিশকে অবহিত করা হয়। জেলা পুলিশ থেকে এ ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জিয়াউল হক।

মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত শেষে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে এহসানুল হক ওরফে হাসানকে ও গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করা হয় রুনা ইসলামকে। উদ্ধার করা হয় আত্মসাৎ করা টাকা এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জিয়াউল হক জানান, দুপুরে প্রতারকদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে তারা তাদের দোষ স্বীকার করেছে।