মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম:
সাতকানিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৭ বসতঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১১ মে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার নলুয়ার দক্ষিণ মরফলা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে দক্ষিণ মরফলার মধ্যম পাড়ার বাসিন্দা নেছার আহমদের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই সময় কালবৈশাখী বাতাস শুরু হওয়ায় মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারেদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৭ বসতঘর পুড়ে যায়।
 স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে দ্রুত এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে দমকল বাহিনী আসলে তাদের সাথে স্থানীয়রাও যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের টানা ২০ মিনিট চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে পাশের অনেক ঘর পুড়া থেকে রক্ষা পাই। মরফলার বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ৭ বাড়ি পুড়ে গেছে। দমকল বাহিনী ও স্থানীয় লোকজন পানি মেরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে মৌলভীর দোকান থেকে ঘটনাস্থল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়কে এতো বেশি স্পীড ব্রেকার, যার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরি হওয়ায় আগুনে বেশি ঘর পুড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, আইয়ুব আলী, লিয়াকত আলী, আজম খান, মুন্সি মিয়া, নুরুল ইসলাম ও নুর হোসেনের ঘর। সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ ইদ্রিস বলেন, আজ রাতে মরফলায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। তবে মৌলভীর দোকান থেকে মরফলার সামান্য দুরাত্মের নিখুঁত কার্পেটিং সড়কে প্রায় ২৬টি স্পীড ব্রেকার থাকার কারণে ফায়ারের গাড়ি পৌঁছতে কিছু বেশি সময় লেগেছে। সড়কে স্পীড ব্রেকার না থাকলে আরো কয়েকটি বাড়ি আগুন থেকে রক্ষা পেতো। অল্প দুরত্বের সড়কে এতোগুলি স্পীড ব্রেকার দেয়া কোনো যুক্তিকতা আছে বলে আমার মনে হয়না। ওখানকার প্রতিটি বাড়ির প্রবেশ মুখে একটি করে স্পীড ব্রেকার। যা ওই  সড়কে চলাচলরত যাত্রীরা নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।  ওই এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে আরো ২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই সমস্যায় পড়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।