প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

“শিশু-কিশোরদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশে এগিয়ে যাই, মেধা ও মননে সাহিত্যের বিকল্প নাই” এই শ্লোগানকে ধারণ করে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি-২০১৮ শুরু হয়েছে। জেলার রামু উপজেলার নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রমিজ উদ্দিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচির আওতায় রয়েছে ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প লিখন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা।

প্রতিযোগিতা প্রাথমিক স্তরের ৩য় শ্রেণি থেকে শুরু মাধ্যমিক স্তরের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপ, ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপ ও ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘গ’ গ্রুপে বিভক্ত করে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ‘ক’ গ্রুপে ছড়াকার জহির ইসলামের ‘ইচ্ছে হলে’, ‘খ’ গ্রুপে জাতিসত্ত্বার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ‘এক দরিয়া এক আদম’ ও ‘গ’ গ্রুপে অধ্যাপক মুফীদুল আলমের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা আবৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার কবি ও ছড়াকারের লেখাকে আবৃত্তি প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমিজ আহমদ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেন, এধরণের কর্মসূচির ফলে শিশুদের প্রতিভার বিকাশ যেমন হবে তেমনিভাবে শিশুদেরকে আদর্শ মানুষ হতে সাহায্য করবে। কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী শিশুদের প্রতিভা অন্বেষণে যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তার জন্য একাডেমীর সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন একাডেমীর সহ-সভাপতি প্রতিভা অন্বেষণ উপ-কমিটির আহবায়ক ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছড়াকার মো. নাছির উদ্দিন।

একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি শিশুর অন্তরে এক একজন শিশুর পিতা ঘুমিয়ে আছে। এসব শিশুর পিতাকে জাগাতে হবে। আজকের শিশুদেরকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে ভবিষ্যতে সমাজের, দেশের দায়িত্ব নিতে হবে। সে জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এখন থেকে তৈরি হতে হবে। শিশুদের সাহিত্যমানস গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদেরকে ও বাড়িতে অভিভাবদেরকে শিশুদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ সরওয়ার কামাল।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ফরিদা রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, একাডেমীর সদস্য কবি-আবৃত্তিকার তৌহিদা আজিম কবিতা আবৃত্তি করেন।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ছড়াকার মো. নাসির উদ্দিন ও কবি তৌহিদা আজিম।

প্রতিযোগিতায় নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় ও ফরিদা-রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রুপে স্বরচিত ছড়া-কবিতায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ইসরাতুল জান্নাত নিশু প্রথম, ৫র্থ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া তামান্না ঔশি দ্বিতীয় ও ৫ম শ্রেণির ছাত্রী রাফি কায়েম শাপলা তৃতীয় স্থান, কবিতা আবৃত্তিতে ৫ম শ্রেণির ছাত্র রাফি কায়েম শাপলা প্রথম ও ৫০ শ্রেণির ছাত্রী ইসরাতুল জান্নাত নিশু দি¦তীয়, ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া তামান্না ঐশি তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

প্রতিযোগিতায় ‘খ’ গ্রুপে স্বরচিত ছড়া-কবিতায় ৮ম শ্রেণির ছাত্র আতিকুর রহমান প্রথম, ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা আফরিন দ্বিতীয় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা কলি তৃতীয় স্থান, গল্প/প্রবন্ধ লিখনে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মাহিয়া রেজিয়া মণি দ্বিতীয় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তামিম আক্তার তৃতীয় এবং কবিতা আবৃত্তিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইমাম রাব্বি রাহাত প্রথম, ৮ম শ্রেণির ছাত্র মুশফিক আহমদ মুনিম দ্বিতীয় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মুর্র্শিদা ইয়াসমিন ডালি তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

প্রতিযোগিতায় ‘গ’ গ্রুপে স্বরচিত ছড়া-কবিতায় ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সাফিয়া নূর মোর্কারমা প্রথম, ৯ম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন সাওম জেবিন দ্বিতীয় ও ৯ম শ্রেণির ছাত্রী নাসিমা আক্তার তৃতীয় স্থান, কবিতা আবৃত্তিতে ১০ম শ্রেণির ছাত্র ওমর ফারুক প্রথম, ১০ম শ্রেণির ছাত্রী আফিয়া ফাহমিদা মুমু দ্বিতীয় ও ৯ম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে সালমা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়।