সিবিএন:
আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে ব্যবসায়ীদের নয়ছয় করতে দেয়া হবে না। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টীম সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। যদি কোন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দ্রব্য মূল্যে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতি মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ‘রমজানের সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, রমজানে ইচ্ছে করলেই ব্যবসায়ীরা গরু মাংসে অতিরিক্ত দাম নিতে পারবে না। কারণ ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাড়াও প্রশাসনের গোয়েন্দা টীম মাঠে থাকবে। কোন অবস্থাতে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও শহরের বাজার গুলোতে গরু জবাই করতে হবে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে।
তিনি আরও বলেন, যানজট রোধে ট্রাফিক এবং পৌরসভাকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। আর সেহেরী, ইফতার, তারাবী এবং নামাজের সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগকে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। যাতে মুসুল্লিরা কষ্ট না পায়।
জেলা প্রশাসক বলেন, রমজানে পথচারিদের হাঁটার জন্য ফুটপাত সম্পূর্ণ ফ্রি রাখতে হবে। কোনভাবেই ফুটপাতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ইফতার সামগ্রি বিক্রি করা যাবে না। তিনি বলেন, প্রতি বছর দোকানদেবিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, ঈদের কেনাকাটায় অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার। যদি এই ধরণের অভিযোগ পেলে ছাড় দেওয়া হবে না।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহিদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমা-ার মো. শাহজাহান, সিভির সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) একেএম লুৎফুর রহমান, ট্রাফিক পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার বাবুল চন্দ্র বণিক প্রমুখ।