মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :

বান্দরবানে লামা উপজেলায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা তৈমু ও তাজিংডং এর নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবীতে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষিত বেকার ও সর্বস্তরের জনসাধারণ। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন ছাত্রলীগ সভাপতি মংক্যহ্লা মার্মা প্রমুখ। এ সময় শতাধিক বেকারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। স্মাারকলিপিতে স্থানীয় ৭২জন বেকার স্বাক্ষর করেছেন।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করে বলা হয়, এনজিও তৈমু ‘স্যাপলিং’ প্রকল্পের অধিনে লামা উপজেলার গজালিয়া, সরই, রুপসীপাড়া ও লামা সদরে ৪০ জন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর, ৭২ জন স্বাস্থ্য কর্মী ও ৭ জন সিল্টক এজেন্ট নিয়োগের জন্য গত ৩০ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পাশাপাশি এনজিও তাজিংডংও লামা পৌরসভা, ফাঁসিয়াখালী, আজিজনগর ও ফাইতং ইউনিয়নে ৪০ জন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর, ৬৮ জন স্বাস্থ্য কর্মী, ৫ জন সিল্টক এজেন্ট নিয়োগের জন্য গত ২৫ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিগত দিনে উপজেলায় বিভিন্ন এনজিওগুলোতে ৯০ ভাগের বেশী রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়িসহ অন্য জেলার নাগরিকরা নিয়োগ পেয়েছে। এতে করে স্থানীয় শতশত শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা বঞ্চিত হয়েছে। চাকুরী না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন বেকার ছেলে মেয়েরা। তাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে নিয়োগ প্রদান ও ইতোপূর্বে অন্য জেলা থেকে লামার কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের উপজেলা থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবী করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, এইসব এনজিওতে দায়িত্বরত অধিকাংশ কর্তা ব্যক্তিরা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার হওয়ায় তারা স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, কারচুপি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে কৌশলে বাদ দিয়ে তাদের পছন্দমত লোকবল নিয়োগ দিচ্ছে। এতে করে জেলার সব চেয়ে জনবহুল ও বৃহত্তর লামা উপজেলায় ক্রমেই শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

স্থানীয় শিক্ষিত প্রজন্মের মতে, বৃহত্তর এ উপজেলায় শিক্ষার দিক থেকে এখন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠি ও বাঙ্গালী ছেলে-মেয়েরা অনেক এগিয়ে আছে। দেশের বিভিন্ন নাম করা কলেজ-ইউনির্ভাসিটি, ভোকেশনাল ইনিষ্টিটিউট থেকে বিভিন্ন পেশায় ডিপ্লোমাধারীর সংখ্যাও রয়েছে। নানান কারণে সরকারি চাকরি পাওয়ারও নিশ্চিয়তা হয়তো অনেকের নেই। বাস্তবতার নিরিখে লামা উপজেলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির কোটায় নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্থানীয়দের প্রাধান্য দেয়া উচিৎ বলে দাবী তোলা হয় স্মারকলিপিতে।

স্মারকলিপি প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, স্মারকলিপিটি দ্রুত জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নিয়োগ পক্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।