এম.মনছুর আলম,চকরিয়া:

কক্সবাজারের র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র‌্যাব-৭)একটি টীম উপজেলার চকরিয়ায় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের রাখাইন পাড়ায় মাদক বিরোধী সাড়াসী অভিযান চালানো হয়েছে।চকরিয়া ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খোন্দাকার মো: ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।সোমবার(৭এপিল) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টানা পাঁচ ঘন্টা উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নস্থ দক্ষিণ মানিকপুর রাখাইন পাড়ায় এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।এ সময় বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি চোলাই মদ তৈরীর কারাখানার সন্ধান পায় র‍্যাব।ওইসব কারখানা থেকে চোলাই মদ তৈরীর নানা সরঞ্জামাদিসহ প্রায় এক লাখ কেজি মদ জব্দ করা হয়।এসময় মেমং রাখাইন (৬৪) নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

মাদক উদ্ধার অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো.রুহুল আমিন নেতৃত্ব দেন।এসময় তাদের সাথে ছিলেন-সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, ভুমি অফিসের সহকারী তপন কান্তি পালসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা প্রমুখ।

সূত্রে জানা গেছে,মানিকপুর রাখাইন পাড়ায় ৬টি বসত ঘরের ভেতরে ও বাইরে মাছাঙ্গ তৈরী করে ভাত পঁচাসহ ৯-১০ প্রকারের উপাদান দিয়ে চোলাই মদ তৈরীর করে মজুদ করেছিল।ঘরের ভেতরে ও উঠানে মাটিতে গর্ত করে অভিনব পন্থায় প্লাস্টিকের ড্রামে ভর্তি করে মদ রাখা হয়েছে।এ সব মদ তৈরি করে মজুদ রাখার সন্ধান পেয়ে প্রশাসন সোমবার সকালে অভিযান চালায়।

কক্সবাজার ক্যাম্পের র‌্যাব-৭ কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো.রুহুল আমিন বলেন, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মানিকপুরের রাখাইন পল্লীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বেশ কয়েকটি ঘরের ভেতরে বাইরে চোলাই মদ তৈরীর ৬টি কারাখানার সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে জব্দ করা হয় ৫ হাজার লিটার তৈরী করা চোলাই মদ ও ৯৫ হাজার কেজি মদ তৈরীর উপাদান।তিনি আরো বলেন, জব্দ করা মদ ও উপাদান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।