নুরুল আমিন হেলালী :

কক্সবাজার সদরের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ১৯ জন এপ্লাস সহ ঈর্শ্বনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ৩২৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে তৎমধ্যে ১৯ জন এপ্লাস ৮১ জন এ ১২২ জন এ- ৬৬ বি গ্রেডে পাস করে জেলায় সাড়া জাগিয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বৃহত্তর ঈদগাঁহর সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পেছনে ফেলে ১৯ জন এপ্লাস সহ সর্বোচ্চ সংখ্যক পাস করে প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ২০১৭ সালের জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও চট্রগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে ২৬জন এপ্লাস পেয়েছিল। তৎমধ্যে ১জন ট্যালেন্টপুল সহ ৫ জন বৃত্তি পেয়ে বিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে। প্রতিষ্টালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টি জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ এপ্লাসসহ বিভিন্ন বৃত্তি পেয়ে কক্সবাজারে নিজেদের ধারাবাহিক শ্রেষ্টত্ব ধরে রেখেছে। এছাড়া বৃহত্তর ঈদগাঁওতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ এপ্লাসসহ বিভিন্ন বৃত্তি পেয়ে ইতিমধ্যেই ঈদগাঁওয়ের শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্টান হিসেবে সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও এসএসসিতে ১৯ জন এপ্লাস নিয়ে নিজেদের শ্রেষ্টত্ব প্রমান করেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম আলমগীর জানান, শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও পরিচালনা পরিষদের সুদক্ষ পরিচালনায় এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও এসাফল্য ধরে রাখতে পেরে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব কামরুল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্টালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টি ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে বিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে। তিনি আরো বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া-সাংস্কৃতিতেও শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। প্রতিষ্টানটির প্রতিষ্টাতা হিসেবে এ সাফল্যে আমি গর্ববোধ করছি এবং উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিদ্যালয়ের এ অভূতপূর্ব ধারাবাহিক সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সেলিম উদ্দিন। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য আবদুস ছালাম, নুরুল ইসলাম, শামীম শহীদ ও অভিভাবক আলহাজ্ব মোহাম্ম শফি, তারেক আজিজ, আনিসুল মোস্তফা সহ ঈদগাঁওয়ের সচেতন মহলের মতে ঈদগাঁওয়ে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত এবং যুগোপযোগী শিক্ষার্থী তৈরীর বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই বিদ্যালয়টি ঈদগাঁওয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে বিজ্ঞান মনষ্ক শিক্ষার্থী তৈরীতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের অভাবনীয় সাফল্যে জেলায় নিজেদের কৃতিত্ব ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে কয়েকদিন আগে প্রথম আলো কক্সবাজার বির্তক উৎসবে এই বিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের বক্তব্যে উপস্থিত বিচারক মন্ডলী, অতিথি ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা থেকে আগত শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ সকলের নজর কাড়তে সক্ষম হয়। এদিকে ঈদগাঁওয়ের সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত বৃহৎ প্রতিষ্টান হিসেবে পিএসসি ও জেএসসি কেন্দ্রের পাশাপাশি এ বিদ্যালয়টিতে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পুনঃস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানিয়েছেন ঈদগাঁওবাসী।