রহিম আব্দুর রহিম

সড়ক মানেই মৃত্যুফাঁদ। প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা এতই ব্যাপক যে, প্রতিদিন ৬৪ জন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে ১৫০ জন। প্রতিদিন ৬৪ জনের প্রাণহানী, মাসে প্রাণ হারাচ্ছে ১ হাজার ৮ শ ৫৬ জন। একই সময় আহত ও পঙ্গুত্বের শিকার ৪ হাজার ৩শ ৫০ জন। বার্ষিক হিসাবে যার পরিসংখ্যান ফলাফল, প্রাণহানি ২০ হাজার ৪শ ১৬ জন, পঙ্গুত্ব বরণ করছে ৪৭ হাজার ৮শ ৫০ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২ শতাংশ পথচারী দায়ী, ৫৮ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে অন্যান্য কারণে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, কালবৈশাখী, বন্যা-খরা, ভূমিকম্প কিংবা প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ নয়। একেবারেই আইন আদালতের সভ্য বেষ্টনিতে ঘেরা স্বাধীন-সার্বভৌম নিরাপত্তাহীন সড়কে মৃত্যুর মিছিল ! কোন দুর্ঘটনা ঘটলেই পরস্পর বিরোধী বক্তব্য, দোষারোপের হৈ-হুল্লোর চলে। ঘটনা নিয়ে যত তোলপাড় হয় এর একাংশও ঘটনার নেপথ্যের ঘটনা উন্মোচনে দায়িত্বশীলরা মনোযোগী হন না। দায় এড়ানোই দায়িত্ববানের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এমনটি নয়। পৃথিবীর প্রায় দেশেই দুর্ঘটনা ঘটে, তবে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে, এমন দেশ পৃথিবীতে সচরাচর পাওয়া কঠিন। গত ৩মে ভারতের বিহার রাজ্যে দুর্ঘটনা কবলিত বাসে আগুন লেগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ২৭ জন যাত্রী। ৩২ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি মুজাফফরপুর থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে, মোড় নিতে গিয়ে ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি উল্টে যায় এবং বাসে আগুন লাগে। এতে করে ২৭ জন যাত্রী ঘটনাস্থলে মারা যান। এলাকাবাসী ৫ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে। এই দুর্ঘটনার পর বিহারের মূখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার দু:খপ্রকাশ করেন, নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় দু:খপ্রকাশ বা ক্ষতি পূরণ দেওয়ার পরিবেশ নেই। কারণ এদেশে দুুর্ঘটনা ঘটে না, এ যেন নিত্য নৈমিত্তিক রুটিন ওয়ার্ক একটি স্বাভাবিক ঘটনা। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় দু:খপ্রকাশ করতে হলে, সরকারকে প্রতিদিন যে কতবার দু:খ প্রকাশ করতে হবে তা বলা মুশকিল। ক্ষতিপূরণ দিতে গেলে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কাটছাট করে এ খাতে হয়ত ব্যয় করতে হবে। কে শোনে কার কথা, দায় এড়াতে পারলেই ঝুটঝামেলা খতম।

‘সড়ক দুর্ঘটনার কারণ কি?’ এরকম একটি প্রশ্ন নিয়ে, স্কুল পড়ুয়া দু’দল তার্কিকের সাথেই সম্প্রতি তর্কযুদ্ধ হয়েছে। তারা উভয়পক্ষ প্রথমেই দুর্নীতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছে, ‘ঘুষ, অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি সম্পদ ও অর্থ আত্মসাতের মত অপরাধগুলোই হল দুর্নীতি। এবার এক পক্ষের এক তার্কিক জোড়ালোভাবে দাবী করে, সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ দুর্নীতি। সে তার পক্ষকে যৌক্তিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কিছু তথ্য উপস্থাপন করে। যাত্রী কল্যাণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে গাড়ির সংখ্যা ৫১ লাখ, ড্রাইভার রয়েছে ৭৯ লাখ। ৫১ লাখ গাড়ির মধ্যে সরকার অনুমোদিত গাড়ি অর্থাৎ নম্বরযুক্ত গাড়ির সংখ্যা ৩১ লাখ। লাইসেন্সবীহিন গাড়ির সংখ্যা ২০ লাখ। অপরদিকে ৭৯ লাখ ড্রাইভারের মধ্যে ১৬ লাখ ড্রাইভারের লাইসেন্স রয়েছে, বাকি ৬৩ লাখ ড্রাইভার অবৈধ, যাদের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই। এই তার্কিক তার প্রতিপক্ষকে প্রশ্ন করে, কিভাবে ২০ লাখ গাড়ি লাইসেন্সবিহীন রাস্তায় চলাচল করছে। কারা এই গাড়ির মালিকদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিচ্ছে। এই মাসোয়ারা কি দুর্নীতির মধ্যে পড়ে না ? সে পরক্ষনেই প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্য বলে ঘুষ, দুর্নীতির কারণেই ২০ লাখ ফিটনেস বিহীন গাড়ি রাস্তায় চলছে। সে আরও বলে ৭৯ লাখ ড্রাইভারের মধ্যে ৬৩ লাখ ড্রাইভার অবৈধভাবে গাড়ি চালাচ্ছে, অথচ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল কি কারনে, কিসের প্রভাবে এই ধরণের অপরাধগুলোর সহযোগিতা দিচেছ? গাড়ি অথবা চালকের কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে প্রতিদিন সড়কে যে চাঁদাবাজি হচ্ছে তা কি দুর্নীতি নয় ? প্রকাশ্য এ ধরনের দুর্নীতির কারণেই প্রতিদিন অদক্ষ ও অবৈধ চালকদের হাতে অকাতরে প্রাণ দিচ্ছে সাধারণ জনমানুষ। অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে আইনের দুর্বলতা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সম্প্রতি আইন বিশেষজ্ঞরা ট্রাফিক আইনের পরির্বতন-পরিমার্জনের প্রস্তাব রেখেছেন; যা পরিবর্তন হতেও যাচ্ছে বলে এই তার্কিক তার বক্তব্যে জানায়। একমাত্র দুর্নীতি যে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ, এই প্রস্তাব জোড়ালোভাবে প্রতিষ্ঠা করা মুশকিল, তবে দুর্নীতি সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ এ যুক্তি এখন শিশু-কিশোররাও দিতে পারছে। তর্কে অপর পক্ষের বক্তারা দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পথচারীদের অসচেতনতার বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে। এক্ষেত্রে তার্কিকরা গত ২ মে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে কিছু অংশ তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রী সড়ক দূর্ঘটনা সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, পথচারীরা আইন মানে না ওভার ব্রীজ, আন্ডারপাস, ব্যবহার করে না। হাত উঠিয়েই রাস্তায় নেমে পড়ে, গাড়িতে উঠে বাইরে হাত রাখে, দুটো গাড়ির মাঝখানে মা তার সন্তান নিয়ে ঢুকে যায়। মটর বাইক চালকরা হেলমেট পড়ে না, গাড়িতে উঠে প্রায় লোকজনই সিট বেল্ট লাগায় না। তিনি তার এধরণের বক্তব্যের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের বলেন, আপনার কমপক্ষে ট্রাফিক আইনের উপরে প্রতিদিন এক মিনিট করে হলেও প্রচার করুন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সূত্র ধরে তার্কিক বলেন, এগুলো কি দুর্নীতি না কি অসচেতনতা? অর্থাৎ এই তার্কিক দুর্ঘটনা এড়াতে গণসচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর অপ্রিয় সত্য কথাগুলি সাধারণ শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করেছে। পথচারীরা সচেতন নয় বটে , তবে তাদের সচেতন করার দায়িত্ব কে নিবে? বিগত ১০-১৫ বছর পূর্বেও আমরা দেখেছি ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী পুলিশ, স্কাউট, রোভার স্কাউটরা যৌথভাবে যানবাহন এবং পথচারীদের সচেতনতায় সরাসরি রাস্তায় দাড়িয়ে নিয়ম কানুন মেনে চলার বিপ্লবী কর্মকান্ড চালিয়েছে। বর্তমানে এ ধরনের দিবসে ভুরিভোজ আর তোষাণনীতির মত কর্মকান্ড ছাড়া জনস্বার্থে তেমন কিছুই হচ্ছে না। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে দুজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়। তার প্রথম জন ড্রাইভার, দ্বিতীয়জন ডাক্তার। উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় না। তাদের ধারণা, একজন ডাক্তারের ভুলে, একজন মাত্র রোগী মারা যাবে। কিন্তু একজন ড্রাইভারের ভুলে শত মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। আমাদের দেশের ড্রাইভারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। হেলপারের শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি পাশ। ড্রাইভারের লাইসেন্স পেতে বয়স হতে হয় একুশ বছর। বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রে এ নিয়ম যথাযথ হলে দক্ষ ড্রাইভার সৃষ্টির জন্য যা করণীয় তা মোটেই হচ্ছে না। আইনের যে সমস্ত ধারায় একটি হত্যা মামলা পরিচালিত হয়, এর মধ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যদি কাউকে মেরে ফেলা হয়, তবে ওই অপরাধীকে ৩০২ ধারা (নরহত্যা) বিচারকার্য সম্পন্ন করে আদালত মৃত্যুদন্ড দিতে পারে। অনাকাঙ্খিতভাবে কেউ যদি খুন করার অপরাধে অভিযুক্ত হয়। তবে ওই অপরাধীকে ৩০৪ ধারায় বিচারকার্য সম্পন্ন করে, আদালত যাবজ্জীবন সাজা দিতে পারেন। সড়ক দুর্ঘটনায় যদি কেউ মারা যায়, তবে অপরাধীর ৩ বছর জেল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারপরও যা আপোষযোগ্য, মিমাংসাযোগ্য। অপরদিকে সড়ক দুর্ঘটনা, মোটরযান অধ্যাদেশের ১২৮ ধারা অনুসারে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করার অধিকার ভূক্তভোগীদের আপনজনদের রয়েছে। যার প্রমাণ বিগত ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক সংবাদে তৎকালীন বার্তা সম্পাদক মুজাম্মেল হোসেন মন্টু ফুটপাতে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় ফেভারেজ কোম্পানীর একটি গাড়ির চাপায় মারা যান। তার স্ত্রী রওশন আক্তার ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে ১ জানুয়ারি, ক্ষতিপূরণ চেয়ে নিম্ন আদালতে মামলা করেন। মামলাটি হাইকোর্ট ও এ্যাপিলেট ডিভিশনে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে ১৩ এপ্রিল রায় পায়। এই রায়ে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেন। ২০১১ সালের ১৩ আগষ্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চলচিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের মিশুক মনির। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সাথে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরসহ মাইক্রোবাসের ৫ আরোহী নিহত হন। পুলিশের দায়ের করা মামলায় বাসের ড্রাইভারের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়।। নিহত তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতে বাস চালক এবং ইন্সুরেন্স কোম্পানীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন। পরে মামলাটি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্ট নিহত তারেকের মাসুদের পরিবারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। অর্থাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করার মত আইন রয়েছে। মামলা হচ্ছে না ! কারণ, এই আইন সম্পর্কে কেউ সচেতন নয়; তেমনি পুলিশও ক্ষতিগ্রস্থদের মামলা করার পরামর্শ না দিয়ে মিমাংসা করার মত সালিশ দরবার অব্যাহত রেখেছে।

গত ৩ মে ঢাকায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বেপরোয়া ড্রাইভিং এর অপরাধে ৭ চালককে কারাদন্ড দিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে ১ মাস, কারও ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন, একজনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এ সাজাতো ঢাকায়, সারা দেশের অবস্থা শোচনীয় ; শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কেউ সোচ্চার নয়। ্আর এই দূর্বলতাকে কেন্দ্র করে সড়কের চাঁদাবাজি চলছে লাগামহীন।

গত ২০০২ সালের ৩ মে ঢাকা রাঙ্গাবালিগামী সালাউদ্দিন ২ নামের একটি নৌযান মধ্যরাতেও ঝড়ের কবলে পড়ে উত্তাল মেঘনার বুকে চাঁদপুরের ষাটনলের কাছাকাছি নিমজ্জিত হয়। এই দুর্ঘটনায় আনুমানিক ৪ শত যাত্রীর প্রাণহানী ঘটে। বিআইডব্লিউটি এর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় সালাউদ্দিন ২ কে নদীগর্ভ থেকে তোলা হয়। ডুবুরিরা ২ শতাধিক লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে তৎকালীন বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লায় নিছে, মানুষের করার কি আছে।’ এই ধরণের বক্তব্যকে ঘিরে ওই সময় সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারণ দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে এধরণের কথাবার্তা মানুষ প্রচন্ড ঘৃণাভারে দেখে। খেয়াল রাখতে হবে, মৃত্যুর দায়ভার যেন মৃতের কাঁধে না চাপে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ যথার্থই বলেছেন, ‘সহজ কথা যায় না বলা সহজে।’––

লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, নাট্যকার ও শিক্ষক

মোবাইল: ০১৭১৪-২৫৪০৬৬

ই-মেইল: ৎধযরসধনফঁৎৎধযরস@যড়ঃসধরষ.পড়স