গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ :
টেকনাফ হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে অভিযান চালিয়ে ছোলা ভর্তি একটি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
এই সময় ইয়াবা পাচারে জড়িত ট্রাকে থাকা দুই জনকে আটক করে পুলিশ।
জানা যায়, মাহে রমজান মাসকে লক্ষ্য করে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে আমদানী করছে ছোলা। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে টেকনাফ স্থলবন্দরের এক শ্রেনীর মুখোশদারী অসাধু ব্যবসায়ী চক্র। তারা বিভিন্ন পন্যের সাথে সু-কৌশলে পাচার করছে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে ইয়াবা পাচারে জড়িত সেই অসাধু চক্র গত ১মে মঙ্গলবার ছোলাভর্তি একটি ট্রাকে নিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা। আর সেই গোপন সংবাদ জানতে পেরে সকাল সাড়ে ৭টায় টেকনাফ হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশের আইসি শফিকুল ইসলাম ও,এ এসআই রাজুর নেতৃত্বে পুলিশের একটি গ্রুপ সড়কে অবস্থান নেয়। এরপর টেকনাফ স্থলবন্দর হতে আসা ছোলা বোঝাই শহরগামী একটি ট্রাক (চট্টমেটো-ট-১১-৭৬৫২) তল্লাশী চালিয়ে ৯০ লক্ষ টাকার ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত থাকার অপরাধে দুইজনকে আটক করা হয়। তারা হচ্ছে চকরিয়া উত্তর হারবাংয়ের করমুহুরী পাড়ার মৃত আহমদ ছফার পুত্র নুরুল আলম (২২) ও মোঃ মহি উদ্দিন (২৬)। এসময় ট্রাকসহ থাকা ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩৬৫ বস্তা ছোলাও জব্দ করা হয়। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের পর ধৃত দুই আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে টেকনাফ স্থলবন্দর কেন্দ্রিক ইয়াবা কারবারে জড়িত মুখোশদারী ব্যবসায়ীরা বৈধ ব্যবসার আড়ালে পাচার করছে লক্ষ লক্ষ মরন নেশা ইয়াবা।
তারা রমজান মাস লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে আমদানী করছে ছোলা আর সেই ছোলার বস্তার সাথে নিয়ে আসছে ইয়াবার বস্তা।
এই সমস্ত অসাধু মুখোশদারী অবৈধ ব্যবসায়ীদের জন্য বিপাকে পড়েছে বৈধ ব্যবসায়ীরা।
ছোলার পণ্য বোঝাই ট্রাকের মধ্যে মাদকের চালান উদ্ধার হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারনের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। অনেক সচেতন ব্যাক্তিরা অভিমত ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখা টেকনাফ স্থলবন্দরটি এখন ইয়াবা কারবারীদের দখলে।
তারা আরো বলেন, ইয়াবা পাচারে জড়িত যে সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন টেকনাফ স্থলবন্দরে অবৈধ ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে তদন্ত স্বাপেক্ষে তাদের মুখোশ উম্মোচন করে আইনের আওতাই নিয়ে আসতে হবে।