রুহুল আমিন

৩৮৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মহেশখালী দ্বীপে ১ হাজার ৩০২ একর কৃষি খাসজমি এবং ৩ হাজার ৩০৫ একর অকৃষি খাসজমি আসে।বন্দোবস্তের উপযোগি অকৃষি খাসজমি রয়েছে ১ হাজার ৩৮২ একর।কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রকল্প বাস্তবায়নে মাত্র ১৯১ একর জমির সংস্থান কেন সংরক্ষিত বন উজাড় করেই করতে হবে,তা বোধগম্য নয়।

বন বাঁচিয়ে বিকল্প স্থানে ওই প্রকল্প সম্ভব কি অসম্ভব সে বিষয়ে আমরা একটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষীয় ভাষ্য আশা করি।আমরা মহেশখালী বাসী বিশ্বাস রাখি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টা বিবেচনায় আনবেন কারণ তিনি চাইবেন না প্রকৃতির ধ্বংস হয়ে কোনো স্থপনা গড়ে উঠুক কারণ তিনি নিজেও একজন প্রকৃতি প্রেমিক। আমরাও চাই আমাদের মহেশখালীতে বিভিন্ন কারখানা গড়ে উঠুক তবে প্রকৃতি এবং জনবসতি ধ্বংস করে নই।

আমরা চাই না বাংলাদেশে একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ নামে পরিচিত এবং অপূর্ব সৌন্দর্যের দ্বীপ নামে পরিচিত মহেশখালী কোনো ক্ষতি হোক। আমরা চাই প্রিয় মহেশখালীরর সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রেখেই সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হোক।তাই আমরা অবিলম্বে বিকল্প স্থানে এই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ আশা করি।

লেখক: রুহুল আমিন, শিক্ষার্থী, কক্সবাজার সিটি কলেজ।