শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের চারটি হোটেলের চত্বরে ট্রাক দিয়ে ময়লা ফেলেছে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে এসব ময়লা ফেলা হয়। ময়লা ফেলানো হোটেলগুলো হলো, হোটেল জামাল, সী ওয়েভ, কক্স ভেলী, সী পয়েন্ট রিসোর্ট।

ভ্যাট বকেয়া থাকায় পৌর ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশে ময়লাগুলো ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিচ্ছন্নকর্মীরা। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ একটি ডাম্পার আটকে রেখেছে।

হোটেল ‘জামাল’র ম্যানেজার শাহনিয়াজ জানান, আকস্মিক পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত একটি ডাম্পার এসে হোটেল একদম সম্মুখেই ময়লাগুলো ফেলে। এতে মুহূর্তের মধ্যে দুর্গন্ধে সয়লাব হয়ে যায় পুরো এলাকা। ময়লা ফেলার ফলে হোটেলেও পথও বন্ধ হয়ে যায়। এতে আটকা পড়ে যায় হোটেলের গেস্টরা।

একইভাবে সী ওয়েভ, কক্স ভেলী, সী পয়েন্ট রিসোর্টেও এভাবে ডাম্পার দিয়ে ময়লা ফেলা হয়। এতে হোটেল ও রিসোর্টগুলো কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

হোটেল ‘জামাল’র ম্যানেজার শাহনিয়াজ বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাছে এভাবে ময়লা ফেলার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান- ভ্যাট বকেয়া থাকায় এসব হোটেল ও রিসোর্টেও সামনে ময়লার জন্য পৌর ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুুুবুর রহমান চৌধুরী নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশেই ময়লা ফেলা হয়েছে।

হোটেল ও রিসোর্টগুলোর কর্তৃপক্ষ বলছেন, ভ্যাট বকেয়া থাকলে নোটিশ করতে হবে। তাতে না হলে ভ্রাম্যমান আদালতসহ ভ্যাট আদায়ের আরো মাধ্যম রয়েছে। কিন্তু ভ্যাট আদায়ে এই রকম জঘন্য কাজ করা চরম অন্যায় হয়েছে।

এ ব্যাপারে পৌর ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর চৌধুরীর বলেন, কয়েক দফা নোটিশ দেয়ার পরও অনেক হোটেল ও রিসোর্ট ভ্যাট দেয়নি। এতে পৌরসভা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

তিনি বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতায় প্রকল্প পাওয়ার জন্য ৮৫ভাগ ভ্যাট আদায় দেখাতে হয়। কিন্তু কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত ৩৪ভাগ ভ্যাট আদায় করা সম্ভব হয়েছে। ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ায় আমরা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই বাধ্য হয়ে ময়লা ফেলে অভিনব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করি এতে তাদের বোধোদয় হবে।

এদিকে ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পর পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লাগুলো আবার সরিয়ে নিয়েছে। পৌর কমিশনার হেলাল উদ্দীন কবির নিজে উপস্থিত থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দিয়ে ময়লাগুলো অপসারণ করান।