জেলা তথ্য অফিসের কর্মশালায় বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে পুরুষের সংখ্যা বেশি। কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই নারীরাই পিছিয়ে। এর কারণ শিক্ষা বঞ্চিত ও অবহেলা। সময় এসেছে- এভাবে আর সম্ভব না। নারীদের এগিয়ে আসতে হবে, এগিয়ে নিতে হবে। তাহলেই পুরো কক্সবাজারের উন্নয়ন হবে।
গতকাল সোমবার জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত শিশু ও নারীর উন্নয়ন বিষয়ক এক কর্মশালায় বক্তারা একথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, আইন হলেও নারীরা এখনো পুরুষের সমমজুরী পায় না। এখনো বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে কিশোরীরা। অন্যদিকে পরিবারে নারীরা বড় অবদান রাখলেও সেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। ঘরে-বাইরে নির্যাতিত হচ্ছে তারা। এসব কারণে এখনো নারীরা পিছিয়ে রয়েছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান হেলেনাজ তাহেরার সভাপতিত্বে ও জেলা তথ্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ। বিশেষ অতিছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়ের আহামদ, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম উদ্দীন, পালস’র প্রধান নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার কে পল। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. সোমা চৌধুরী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আহসানুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন ঝিংলজা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান টিপু সুলতানসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা।
কর্মশালায় জানানো হয়, কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী, ঝিলংজা, ঈদগাঁও, খুরুস্কুল, ভারুয়াখালী ও ঝিংলজায় এখনো আশঙ্কাজনকহারে বাল্যবিবাহ হচ্ছে। কতিপয় জনপ্রতিনিধি, অসাধু কাজীর যোগসাজসে এসব বাল্য বিবাহ হচ্ছে। বাল্যবিবাহ রোধে এসব ইউনিয়নে নজরদারী বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।