রেজাউল করিম রেজা:
চলচ্চিত্রের মন্দা বাজারেও যার ছবি এলে হলে ঢল নামে দর্শকদের। যার উপর আস্থা রাখেন চলচ্চিত্রের পরিচালক থেকে শুরু করে প্রযোজকরা। তিনি আর কেউ নন তিনি নাম্বার ওয়ান খ্যাত নায়ক শাকিব খান। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তেমন ভাবে কোন ছবি সাড়া জাগাতে না পারলেও গতকাল শুক্রবারে (২৭ এপ্রিল) হলের চিত্র গুলো ছিলো বেশ ভিন্ন।

টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন, টিকিট না পেয়ে ফিরে যাওয়া কিংবা দ্বিগুণ দামে টিকিট ক্রয় করতে দেখা গেছে প্রেক্ষাগৃহ গুলোতে। আর এ সব কিছুর মূলেই ছিলেন নায়ক শাকিব খান। কেননা গতকাল সারা দেশে নানা চড়াই উৎরাই পার করে মুক্তি পেয়েছে শাকিব-শুভশ্রী জুটির দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘চালবাজ’। চলচ্চিত্রে মন্দা বাজারে যেন এক পসলা বৃষ্টি হয়ে শান্তি দিয়েছে শাকিব হল মালিক ও দর্শকদের।

সারা দেশের ১০৩ হলে মুক্তি পেয়েছে কলকাতার এসকে মুভিজের প্রযোজনায় নির্মিত ‘চালবাজ’ ছবিটি। মুক্তির পর দেশের হল ছিল হাউস ফুল। রাজধানীর মধুমিতা সিনেমা হলে দেখতে যাওয়া শাওন নামের এক দর্শক জানান, ‘হলে দর্শকের উপচেপড়া ভিড়। অনেককেই ৭০ টাকার টিকেট ২৫০-৩০০ টাকায় কিনতে দেখেছি। সমসাময়িক কোনো ছবিতে এমন হতে দেখিনি। বাংলা ছবির জন্য দর্শকের এমন আগ্রহ দেখে ভালো লেগেছে।’

এদিকে ‘চালবাজ’ চলচ্চিত্রটির মধ্য দিয়ে দর্শকরা ফের হলমুখী হয়েছেন বলে মনে করছেন প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী নওশাদ। নওশাদ বলেন, বছরের শুরু থেকে সিনেমা হলে দর্শক নেই। হল গুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চলতি বছরে শাকিব খান অভিনীত ‘আমি নেতা হবো’-চলচ্চিত্রের পর ‘চালবাজ’ নিয়ে আশার আলো দেখছেন হল মালিকরা। আমার হল মধুমিতাসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ হাউসফুল ছিল।

জয়দীপ মুখার্জি পরিচালিত ‘চালবাজ’ ছবিতে শাকিব-শুভশ্রী ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রজতাভ দত্ত, সুপ্রিয়, আশীষ বিদ্যার্থী প্রমুখ। ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন স্যাভি।