ইমাম খাইর, সিবিএন:
জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল উখিয়ার জালিয়াপালং ইউপি। এ উপজেলায় পড়েছে পর্যটন স্পট ইনানী ও প্রসিদ্ধ রেজু খাল। পাহাড়ী এলাকা হলেও জালিয়াপালং এর গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে টিআর, কাবিখা, ওয়ানপার্সেনসহ সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দ ঠিকই হচ্ছে। বেসরকারী ও ব্যক্তি উদ্যোগেও উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত আছে। উপজেলা থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৪০ লাখ টাকাসহ সরকারী হতবিলের প্রায় ৬৬ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন।
রেজুখালের ভাঙনরোধে স্পার নির্মাণ করা অনেক দিনের প্রয়োজনীয় দাবী। তা এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে। স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের বাউন্ডারীওয়াল নির্মাণ, জালিয়াপালং উচ্চবিদ্যালয় ও সোনারপাড়া দাখিল মাদরাসার শ্রেণীকক্ষ ও আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় অনেক উন্নয়ন কাজ চোখে পড়ার মতো। গ্রামীন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশী হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
২০১৭ সালের শ্রেষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে ১১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বাস্তবিকই প্রত্যন্ত এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে জালিয়াপালং।
জুম্মাপাড়া, প্যাইন্যাশিয়া, চরপাড়া, সোনাইছড়ি, লম্বরিপাড়া, সোনারপাড়া, বড়পাড়া, ডেইলপাড়া, উত্তর নিদানিয়া, নিদানিয়া, বড় ইনারী, ছোট ইনানী, মোঃ শফির বিলা, রূপপতি, ইমামের ডেইল, মাদারবুনিয়া, চোয়াংখালী, ছেপটখালী, মনখালী ও চাকমাপাড়া নিয়ে জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড গঠিত।
সাগর তীরবর্তী এই জনপদে সংখ্যাগরিষ্ট জনগণ মুসলমান। তবে রূপপতি, বাইল্লাখালী, মাদারবুনিয়া, চোয়াংখালী, মনখালীতে উপজাতিয় লোক বসবাস করে। বিক্ষিপ্ত জায়গায় হিন্দুদের বসতিও রয়েছে। সব মিলিয়ে ইউনিয়নে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। শিক্ষার হার ২২.১৬ শতাংশ।
উপজাতিরাও সরকারী সুযোগ সুবিধা ঠিক মতো ভোগ করে থাকে। সম্প্রতি ৩১৫ উপজাতি পরিবারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমি চৌধুরী বলেন, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা, বিধবাভাতাসহ সব ধরণের সরকারী সেবা জনগণকে দেয়া হচ্ছে। গর্ভকালীন ভাতা দেয়া হয় প্রায় ২০০ নারীকে। এ পর্যন্ত উপজেলা থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৪০ লাখ টাকাসহ সরকারী হতবিলের প্রায় ৬৬ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন।