জে,জাহেদ , চট্টগ্রাম:

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন। এমনকি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’। ১৯৪৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে জন্ম নেয়া এই সংগঠনটির দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের বোরহান-তাহের কমিটির মেয়াদ ৬ মাস শেষ হতে চলেছে।

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সংগঠনটি ৭০ বছরে পা দিয়েছে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর কেন্দ্র হতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বোরহান-তাহের নির্বাচিত হয়।

এই কমিটির ছয় মাসে রয়েছে নানান অর্জন। এর মধ্যে-বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবসে মিলাদ মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ ও কারগারের রোজনামচা বিতরণ, জেলা আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচীতে মিছিল সহকারে জমায়েত,

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনে শোডাউন ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে সরব উপস্থিতি।

কিছুদিন পুর্বেও উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে,৮ই ফ্রেবুয়ারি খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে লাঠি মিছিলসহ রাজপথে জোরালো অবস্থান, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষিত সকল কর্মসূচী যথাযত ভাবে পালন ও জাতীয় দিবস গুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেন।

এছাড়াও ইতিমধ্যে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সব প্রস্তুতি শেষ করেছে, যেকোন মুহূর্তে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা এবং পূণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর পরই উপজেলা পৌরসভা,কলেজ কমিটি গঠন করে আগামী নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগকে একটি শক্তিশালী ইউনিটে পরিণত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংগঠনের জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের।

গত বছরেও বোরহান-তাহের এর নেতৃত্বে শিক্ষা ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, শৃঙ্খলা ভঙ্গে শাসন, দেশের যেকোন সমস্যায় পাশে ছিল ছাত্রলীগ।

এছাড়া রয়েছে কিছু সমালোচনাও। এর মধ্যে গঠনতন্ত্র না মানা, বিভিন্ন জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা। তবে যেখানে অভিযোগ পেয়েছে সেখানে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। যা বর্তমান কমিটির উল্লেখযোগ্য অবদান।

এছাড়া স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বিনামূল্যে মেডিক্যাল টিম প্রেরণ করে নেতৃবৃন্দ। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশংসিত হয় ছাত্রলীগ নেতারা।

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক জঙ্গীবাদ। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের অবস্থান জিরো টলারেন্স। দেশ থেকে জঙ্গীবাদের মূল উপড়ে ফেলতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে সংগঠনটি। গত ৪ মার্চ দেশব্যাপী জঙ্গীবিরোধী গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করে।

এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে প্রায় ১ কোটি মানুষ জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান তুলে ধরে। এই কর্মসূচীতে সমর্থন দিয়েছে অসংখ্য মানুষ।

সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সভাপতি হিসেবে এসএম বোরহান ও সাধারণ সম্পাদক নেতৃত্বে মোঃ আবু তাহের তৃণমূলে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তারুণ্য নির্ভর ক্লিন ইমেজের দুই তরুণ পত পত করে উড়াচ্ছেন দলীয় পতাকা এমনকি এগিয়ে নিচ্ছেন ছাত্রলীগকে অন্যান্য এক উচ্চতায়।

ছাত্রসমাজে দুজনের জনপ্রিয়তায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত।