মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যছড়ি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ভাগিনার ঝিরি নামক স্থান থেকে গত ১৯এপ্রিল ভোর রাতে তামাক চাষী সাইফুল ইসলাম (১৯) কে অপহরণের ঘটনায় জড়িত অপহরণ চক্রের সক্রিয় তিন সদস্যকে পৃথক অাভিযানে আটক করতে সক্ষম হয়েছে ব পুলিশ। গত তিন দিনের টানা অভিযানের ফলে অপহরণ চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয় বলে জানান পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের বাসিন্দা মো. ইসমাইলের পুত্র শফিউল আলম (৩৪), উপজেলার একই ইউনিয়নের একই গ্রামের বাসিন্দা মকবুল আহামদের পুত্র নুরুল হাকিম (৩২) ও মৃত নুরুল হাকিমের পুত্র আব্দুর রশিদ (২৬)।

অভিযানের নেতৃত্ব দানকারী নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী ইনচার্জ আবু মুসা বলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আলী হোসেনর নির্দেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ এপ্রিল ভোর রাতে ধৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শফিউল আলমকে রামু উপজেলার দূর্গম জনপদ জোয়ারিনালা ইউনিয়নের নন্দাখালী গ্রামের এক বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ধৃত অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা সরাসরি তামাক চাষী সাইফুল ইসলামকে অপহরণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া বাইশারী ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক রামু গর্জনিয়া-দোছড়ি ও বাঁকখালী থেকে বিগত দিনে অপহরণের সাথে এদের সম্পৃক্ততার কথাও স্বীকার করেছে। অপহরণের ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ২২ এপ্রিল মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং- ৬,

স্থানীয়রা জানান, বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী ইনচার্জ আবু মুসার সাহসিকতায় এলাকার লোকজন এখন কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। তবে অপহরণ চক্রের মূল হোতা মো. আনোয়ার প্রকাশ আনাইয়া ডাকাতকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত এলাকায় পুরাপুরি স্বস্তি ফিরবে না। এলাকার লোকজন এখনো অপহরণ আতঙ্কে ভুগছেন। কিছুদিন থেমে থেমে চলছে এলাকায় অপহরণ বানিজ্য তাই এলাকার হাজার হাজার জনসাধারণ আনাইয়া ডাকাতকে গ্রেফতারের দাবি জানান।