নুসরাত পাইরিন,কক্সবাজার : মাকে একটু দেখার ইচ্ছে নিয়ে বেঁচে আছে  ২৫ বছরের এক যুবক।  মা পাকিস্তানের করাচিতে ছেলে বাংলাদেশে । ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ মা-ছেলে আলাদা।

নাম তার  মোহাম্মদ আবদুল্লাহ । গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালার পূর্ব নোনাছড়ী ৬নং ওয়ার্ডে অলী চাঁদ মেম্বারের বাড়ির পাশে তার জন্ম। রোকেয়া বেগমের প্রকাশ কালাপুতুর সন্তান আবদুল্লাহ। জন্মের ৩ বছর পর তাকে দত্তক দিয়ে চলে যায় সুদূর পাকিস্তানে।তিনি পাকিস্তানযাওয়ার সময় তার বড় মেয়ে শাহেনা কে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিল। তার নানার নাম মৃত ফকির মোহাম্মদ নানি মৃত শরিফ খাতুন,মামা মোঃমমতাজ, নুরুল ইসলাম,আমানুল ইসলাম,খালো ফাতেমা বেগম,বুলবুল আক্তার,পাখি আক্তার। বাংলা বাজার পিএম খালী এলাকার এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে হয়।ঐ দম্পতি থেকে জন্ম হয় শাহেনা আক্তার ও আবদুল্লাহ নামের দুই সন্তান।জন্মের ৩ বছর পর থেকে আবদুল্লাকে স্থানীয় জোয়ারিয়া নালা ঘোনা পাড়া জনৈক ব্যক্তির নিঃসন্তান দম্পতিকে দত্তক দিয়ে চলে যায় পাকিস্তানে।সে থেকে আবদুল্লাহ বড় হতে লাগলে মা’ কে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করে। সে ছোটকালে তার আত্বীয় স্বজনদের কাছে মায়ের খোঁজ নিতে গেলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারে না।এমন সময়ে ধীরে ধীরে বড় হয় আবদুল্লাহ। ২৭ বছরের টকবগে যুবক আবদুল্লাহ গর্ভধারনী মায়ের সন্ধান চেয়ে পাগল প্রায়।এক পর্যায়ে খবর আসে তার মা পাকিস্তানের করাচি জাইল্লাঘাট ও উলঙ্গ এলাকায় রয়েছে।সে থেকে মায়ের সাথে দেখা করতে আগ্রহ হয়ে উঠে তার।প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্বেও অর্থের অভাব ও ঘনিষ্ট কেউ সে না থাকায় তার স্বপ্ন পুরন হচ্ছে না।জানতে চাইলে আবদুল্লাহ বলেন,যার পায়ের নিচে আমার বেহেস্ত যিনি আমাকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে আমি সে মায়ের চেহেরাটা একবার হলেও দেখতে চাই।আমার মায়ের সন্ধান পেয়ে থাকলে আমার ০১৮১৬-৬৫১৭৯৭ নাম্বার অথবা আমার খালু ০১৮৪৩১৭৮৩৫৬ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি।