নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ ছাড়া তার অন্য কোনো দেশের পাসপোর্ট নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ত্যাগ নিয়ে আলোচনার মধ্যে সোমবার রাতে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একথা জানান তিনি।

একটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শেয়ার দিয়ে জয় তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বিএনপি সম্পূর্ণরূপে একটি অসৎ দলে পরিণত হয়েছে। তাদের কোনো কথাই আর বিশ্বাসযোগ্য না। এই সংবাদে আপনারা দেখতে পাবেন তারেক রহমান ও তার পরিবারের পাসপোর্টগুলোর কপি যা লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে হস্তান্তর করা হয়।’

সেখানে তিনি আরও লিখেছেন, ‘সবার অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি আছে। গর্বের সঙ্গে আমার সবুজ বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েই আমি যাতায়াত করি।’

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের মাধ্যমে তারেক রহমানের পাসপোর্ট বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দেয়ার একটি নথি দেখিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘তার হিসাবে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন আর বাংলাদেশের নাগরিক নন।’

গত ২২ এপ্রিল লন্ডনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সবুজ পাসপোর্ট জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন তারেক রহমান। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সেই তারেক রহমান কীভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।’

ওই বক্তব্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ২৩ এপ্রিল, সোমবার দৈনিক কালের কন্ঠ ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত হয়।

এমন সংবাদের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আসলেই সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও অনর্গল মিথ্যা বলার যে একটি ‘সেন্টার অব এক্সসেলেন্স’ সেটি আবারও প্রমাণ করল।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ নয় বছর ধরে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন তারেক রহমান। এক/এগারোর সময়ে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানে অবস্থান করে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা দেন আদালত। এখন তিনি কারাগারে আছেন। ওই মামলায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয় খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে। আসামি সবাইকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়।