নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় আব্দুল মালেক (৫৫) নামে রিকশাচালকের ডান পা বিছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রাইভেট কারের (ঢাকা মেট্রো-খ, ১১-৯৫৭৯) সামনের অংশও দুমড়েমুছড়ে গেছে। ঘাতক গাড়ীটি অাটক করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।

রোববার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার তারবনিয়ারছড়া কবরস্থান রোডের মূখে এ ঘটনা ঘটে।

তবে, প্রাইভেট কারের মালিক কে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও সেটি রামু দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেতার বলে অনির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। ঘাতক গাড়ী চালক পালিয়ে গেলেও নাম্বার সূত্র ধরে মালিক অনুসন্ধান করছে পুলিশ।

বিচ্ছিন্ন পা নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে অসহায় রিকশাচালক আব্দুল মালেক।

পা বিছিন্ন রিকশাচালক আব্দুল মালেক (৫৫) মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের আধার ঘোনা এলাকার মৃত অলি আহমদের ছেলে। এসময় আহত হয়েছেন মো. হোসেন (৩২) নামে এক ব্যবসায়ী। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাইভেট কারটি বার্মিজ স্কুল রোড থেকে বাসটার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলো। সেইসময় রিকশাচালক আবদুল মালেক করবস্থানের মুখে রাস্তার পাশে একটি বৈদ্যুতিক খাম্বার পাশে দাড়িয়ে ছিলেন। তখন দ্রুত গতিতে আসা প্রাইভেট কারটির ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মো. হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী আহত হন।

পা বিছিন্ন আব্দুল মালেক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং মো. হোসেনকে চকরিয়া মালুমঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পা বিছিন্ন হয়ে যাওয়া রিকশাচালক আব্দুল মালেক এর ছোট ভাই আব্দুর রহিম বলেন, আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে রিকশা চালাচ্ছেন। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তিনি অত্যন্ত গরীব ।  রিকশাচালিয়ে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করেন। এর মধ্যে আবার তার ছোট্ট ছেলেটিও বোবা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আবদুল মালেকের ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। তবে অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

কক্সবাজার সদর থানার মডেল থানার অফিসার ইনজার্চ মো. ফরিদ উদ্দীন খন্দকার জানান, চালক পলাতক রয়েছে। তবে গাড়িটি জব্দ করা হয়। নাম্বারের সুত্র ধরে মালিকানা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

ঘটনার প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, গাড়ির মালিক রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনুস ভুট্টো। যে গত নির্বাচনে টাকা পয়সার লেনদেনে নৌকা প্রতীক কে হারিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছিল। এরপর থেকে এলাকার মানুষকে শোষন, ভূমিদস্যূতা, ইয়াবাব্যবসা, লুটপাট এগুলো আপনদর্পে নৈরাজ্যের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামাত ক্যাডার ভূট্টোর, আশ্রয়দাতা আওয়ামী লীগ নামধারী উচ্চ ক্ষমতাধর। আওয়ামীলীগ এর লেবাস পরে আওয়ামীলীগ এর বিপর্যয় ডেকে আনছে।
গতকাল (২২ এপ্রিল) রাতে এই ভুট্টোর ছেলে বন্ধু বান্ধবসহ মাদক গ্রহন করে গাড়ি চালিয়ে ফুটপাতে পথচারীদের উপর হামলে পড়ে।যার ফলাফল দেখুন।মৃত্যূর সাথে পান্জা লড়ছে পা হারিয়ে দুজন।আরও অনেকে আহত।
ভুট্টোর ছেলে বন্ধু বান্ধবসহ মাদক গ্রহন করে গাড়ি চালিয়ে ফুটপাতে পথচারীদের উপর হামলে পড়ে।যার ফলাফল দেখুন। মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে পা হারিয়ে দুজন।আরও অনেকে আহত।

কেচোঁ খুড়ে এবার সাপ বের হবে। প্রশাসনকে অনুরোধ এসব মাদক গ্রহনকারী ও ব্যবসায়ী দের জোরেসোরে ধরুন। না হয় জনগন পথে নেমে ধরতে বাধ্য হবে। এবার ইউনুসভুট্টোদের আর পালাবার পথ নেই।

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ ভুট্টু বলেন, আমি জিন্দেগিতে ওই রকম কারগাড়ী দেখিনি। আমার একটি ল্যান্ডক্রুজার ছাড়া কোন গাড়ী নেই। গাড়ীটি আমার হলে এলাকায় কেউ কোনদিন দেখেছে কিনা? প্রমাণ দিতে পারলে পুরস্কার দিব। কেউ স্ট্যাটাস দিলে সেটি ব্যক্তিগত বিষয়।আমার করার কি আছে?

তিনি বলেন, শুভ নামক একটি ছেলে কারটি চালিয়েছে শুনেছি। থানা থেকেও একই নাম শুনেছি।