ইমাম খাইর, সিবিএন
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও মেহেরঘোনায় এলাকার একটি ডাকাতি মামলায় ২০ বছরের মাথায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৭ আসামীকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে নগদ ৫ হাজার টাকা অনাদায়ে আরো এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে ৬ আসামীকে।
২৩ এপ্রিল জি.আর মামলা নং-২৪৭/৯৮ শুনানী শেষে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গণি রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও মেহেরঘোনা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে শফিউল আলম, বদিউল আলম, মনজুর আলম, কালিরছড়া এলাকার মুহাম্মদ আলমের ছেলে নুরুল আমিন, চান্দেরঘোনা এলাকার মুহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবু তাহের, ছালেহ আহমদ প্রকাশ ছালামত উল্লাহর ছেলে নবাব মিয়া ও মেহেরঘোনা এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে ছৈয়দুল আলম প্রকাশ শহীদু।
খালাসপ্রাপ্ত আসামীরা হলো- তৈয়ব প্রকাশ আবু তৈয়ব, নুরুল হুদা প্রকাশ জুইন্না, মুহাম্মদ টুলু, জয়নাল আবেদীন, বেলাল উদ্দিন প্রকাশ বেলাল ও শফি আলম। রায় প্রদানকালে আদালতে ৪ আসামী উপস্থিত ছিল।
মামলায় আসামীপক্ষে ছিলেন এডভোকেট মুহাম্মদ জহির উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এডভোকেট মো. বদিউল আলম সিকদার।
রায় শেষে প্রতিক্রিয়ায় এডভোকেট মো. বদিউল আলম সিকদার সিবিএনকে বলেন, ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই রাত ৩টার দিকে স্বশস্ত্র ডাকাতদল কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও মেহেরঘোনা এলাকার মৃত আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে ছৈয়দ আলমের বসতবাড়ীতে হানা দেয়। ঘরে থাকা লোকজনকে ব্যাপক মারধর করে মূল্যবান সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছৈয়দ আলম বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জি.আর ২৪৭/৯৮ মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয় সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। অবশেষে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দীর্ঘ ২০ বছরের মাথায় মামলার রায় দেয় আদালত। রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করেছে বাদীপক্ষ।