পিবিডি : গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংসদ বহাল রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন উচিত হবে না, কিছু অসৎ লোক ছাড়া সবাই বলবে আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ নিরপেক্ষ।

শনিবার(২১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের তিনতলার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন্।

এসময় দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজে জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকারসহ সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে- বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা। ফলে যথাযোগ্য বিচারকমণ্ডলীর মাধ্যমে পরিচালিত একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা অপরিহার্য। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে- এটাই আইনের শাসনের মূলকথা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘৯০ সালে তিন জোটে রূপরেখা ও ২০০৫ সালে ১৪ দলের ২৩ দফা কর্মসূচি ভিত্তিক গণ-আন্দোলনের বিজয়ের পর লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যর ঘাটতি ও দুর্বলতার কারণে জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি। এ কারণে লক্ষ্য ও কর্মসূচিভিত্তিক আন্দোলনের বিজয়ের পর, কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের চেতনাকে আরো সুদৃঢ় করতে হবে। এ লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান পার্টির নেতা আওম শফিক উল্লাহ।

এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, দেশে মানুষ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশে ঘুষ দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। উপরের দিক থেকে নিচে সর্বত্র ঘুষ-দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। জনগণ অতীষ্ঠ। সাধারণ মানুষ সুশাসন চায়।

তিনি বলেন, সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আশা করা হয়েছিল ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত তথাকথিত একটি নির্বাচনে পর খুব শিগগির আরো একটি নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্মম পরিহাস সে নির্বাচন এখনো অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া সবার সঙ্গে ঐক্য হবে। ঐক্য হবে নীতির ওপর ভিত্তি করে এবং সে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যম জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, এখন রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র নেই। তাই দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র আনতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্রের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জনগণের ক্ষমতা থ্কাতে হবে। তিনি বলেন, মানুষ এখন তার ক্ষমতার মালিক হতে চায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মোহসীন মন্টু, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জানে আলম প্রমুখ।