বেলাল আজাদ:
কক্সবাজারের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে ভেঙ্গে এলাকা ভিত্তিক ৮ উপজেলা মিলিয়ে তিনটি পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পৃথক তিনটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের নির্দেশ হয়েছে।
বিভাগগুলো হবে- চকরিয়া ও কক্সবাজার সদর দুই উপজেলার ট্রাইব্যুনাল-১, রামু, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া ৩ উপজেলার ট্রাইব্যুনাল-২ এবং টেকনাফ, উখিয়া ও পেকুয়া ৩ উপজেলার জন্য ট্রাইব্যুনাল-৩। ইতিমধ্যে উক্ত ৩ ট্রাইব্যূনালে ৩ জন বিচারকও নিয়োগ দেওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও ট্রাইব্যূনাল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, নব গঠিত ৩ ট্রাইব্যূলানে দায়িত্ব বরগুণার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এমএইচএম মাহমদুদুর রহমান ট্রাইব্যূনাল-১ (চকরিয়া ও কক্সবাজার সদর) এর বিচারক, নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা
জজ জনাবা জেবুন্নাহার আয়েশা ট্রাইব্যূনাল-২ (রাম, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া) এর বিচারক এবং নোয়াখালীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট মোঃ নুর ইসলাম ট্রাইব্যূনাল-৩ (টেকনাফ, উখিয়া ও পেকুয়া) এর বিচারক হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন।
এই নবগঠিত ৩ ট্রাইব্যুনাল নির্ধারিত উপজেলার এলাকা ভিত্তিক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলা দায়ের ও বিচার হবে।
কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নারী-শিশু ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট মোঃ নুরুল
ইসলাম জানান, জেলাবাসী দীর্ঘ ২ বছর বিচারক শূন্যতায় বিচার বিলম্বের ভোগান্তি ভোগার পরে আইন মন্ত্রণালয় পৃথক তিনটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৩জন বিচারক নিয়োগ দেওয়ায় বিচার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে এবং ভূক্তভোগীরা ন্যায়
বিচার পাবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।