মো. ফারুক, পেকুয়া:

পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের হাজি¦র পাড়া এলাকার ফজল করিমের স্ত্রী আয়েশা বেগম। দুই সন্তানের জননী। গর্ভবতি অবস্থায় শরীরে খারাপ অবস্থা বিরাজ করলে ১৫ এপ্রিল ভর্তি হন পেকুয়া বাজারস্থ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক নামের একটি ক্লিনিকে। ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো: রুবেল সাদাত চৌধুরী (এমবিবিএস) পরামর্শ দেন মহিলার জীবন বাচাঁতে হলে তাকে ডিএনসি (ওয়াশ করে গর্ভের ভিতর সন্তান বের করা) করাতে হবে। সহজ সরল অসহায় ফজল করিম ডাক্তারের কথায় বিশ^াস করে স্ত্রীর ডিএনসি করান। সেই ভালোর জন্য করিয়ে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আয়েশা বেগম। গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না হয়েও শুধু মাত্র একজন এমবিবিএস ডাক্তার রুবেল সাদাত শরীরের ভিতর ওয়াশ করাতে গিয়ে মহিলার জরায়ুসহ ভিতরে ব্যাপক ক্ষত সৃষ্টি করেন। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে প্রতিদিন ৫ ব্যাগ করে রক্ত দেওয়া হচ্ছে ওই মহিলাকে। ডাক্তারের অপ-চিকিৎসায় বসতবাড়ি বিক্রি করে চিকিৎসা চালানোর উপক্রম হয়েছে পরিবারটির। এমন অভিযোগ করেছেন মহিলার স্বামী ফজল করিম।

ফজল করিম বলেন, আমার স্ত্রী ৭ মাসের গর্ভবতি বিধায় শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসক পরিক্ষা নিরিক্ষা করানোর পর বলেন, গর্ভের ভিতর বাচ্ছার সমস্যা হয়েছে ডিএনসি করে বের করতে হবে। ভর্তির সময় বলা হয়েছিল মহিলা ডাক্তার দিয়ে করাবেন। কিন্তু ডিএনসি করান এমবিবিএস ডাক্তার রুবেল সাদাত। ডিএনসি করানোর ১ঘন্টার পর থেকে আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক রুবেল সাদাত। আসার সময় জেনারেল হাসপাতাল থেকে ডিএনসি করানোর ফাইলটি না দেওয়ায় অনেক কষ্টে পড়ে যায়। গত ১৫ এপ্রিল রাতে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হ্সাপাতালে নিয়ে আসি। আমার আত্বীয় চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক আতিকুর রহমানের সহযোগিতায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করায়। সকালে এক আত্বীয় পাঠিয়ে ডিএনসি করানোর টাকার রিভিসটি দেয়। এদিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর চিকিৎসক বলেন, স্ত্রীর জরায়ুর মুখাবয় ও পশ্র্রাবের নাশিকা কেটে যাওয়ায় ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হয়। প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে ৫ব্যাগ করে রক্ত। টাকার অভাবে চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে পারছিনা। রুবেল সাদাতের অপচিকিৎসায় আমার স্ত্রী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে। এ বিষয়ে আমি পেকুয়া থানায় অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলাম। তারা অভিযোগ না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। আগামী রবিবার আদালতের দারস্থ হব।

ফজল করিমের আত্বীয় চিকিৎসক আতিকুর রহমান বলেন, ফজল করিম আমার মামাতো ভাই। তার স্ত্রীকে মূমর্ষ অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে জানতে পারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিসৎক রুবেল সাদাতের অপচিকিৎসার মূমর্ষ কাহিনী। পরে চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে ৫ব্যাগ করে রক্ত দেওয়া হচ্ছে।

পেকুয়া জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালাক কামরান জাদিদ মুকুট বলেন, মহিলাটি ডিএনসি ডাক্তার রুবেল সাদাত করেছে। ডাক্তার একদিন আমার হাসপাতালে ছিল। এখান থেকে কি কারণে নিয়ে গেছে আমরা অবগত নয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ডাক্তার রুবেল সাদাত চৌধুরী ব্যস্ত থাকার কথা বলে মোঠোফোনের (০১৮৫৩৬৭৩৫৩৬) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।