নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে হঠাৎ পাহাড় কাটা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ জানিয়ে এবং পাহাড় কেটে গড়ে উঠা ঝুকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো বর্ষার আগে উচ্ছেদেরে দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে কক্সবাজার ইয়ুথ এনভায়রণমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজার। ১৯ এপ্রিল সকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো:কামাল হোসেনের হাতে স্মারকলিপিটি তোলেদেন ইয়েস কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন-পরিবেশবাদী ও সংগঠক নাজিম উদ্দিন, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা কমিটির কক্সবাজারের সদস্য সচিব কলিমুল্লাহ, যুব নেতা ফরিদুল আলম, কক্সবাজার পরিকল্পিত আন্দোলনের সমন্বয়কারী আব্দুল আলীম নোবেল।

জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত কয়েক মাসে কক্সবাজারে হঠাৎ করে বিভিন্ন ভাবে পাহাড় কাটা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অজুহাত দিয়ে কক্সবাজার শহরে সরকারী খাস পাহাড়ী জমি দখল করে নির্বিচারে পাহাড় কেটে ফ্লট বিক্রি কিংবা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। অথচ এসব এলাকায় পাহাড় সংরক্ষণ এবং পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে উচ্ছ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।

পরিবেশবাদীরা জেলা প্রশাসককে বলেছেন, উচ্চ আদালতে গত পাঁচ বছরে কক্সবাজারের পাহাড় সংরক্ষণ নিয়ে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে একটির। আবার নিষ্পত্তিকৃত মামলায়ও আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে কার্যকর হচ্ছে না।

পরিবেশবাদীরা জানান, কক্সবাজার শহরের সৈকত তীরে কলাতলী এলাকায় ঝিলংজা মৌজার ২০৩০৪ ও ১৭০৩০ নং বিএস দাগের পাহাড়গুলো সংরক্ষণ করতে এসং ইতিপূর্বে পাহাড় কেটে গড়ে উঠা স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করতে ২০১৫ সালে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে দিয়েছেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশনা দেন। কিন্তু আদালতের এরকম কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও এসব এলাকায় প্রতিদিন পাহাড় কেটে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। হাইকোর্ট ও দেশের প্রচলিত আইনে নির্দেশনা থাকার পরও পাহাড় খোকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় আসন্ন বর্ষায় পাহাড় ধ্বসের ঝঁকির মুখে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।