আবদুর রাজ্জাক:
মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী ছৈয়দ জাকির হোছাইনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় কথিত যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন আজমকে একমাত্র আসামী করে সরকারী কাজে বাধাদানসহ হত্যা করার হুমকি দেয়ার অভিযোগে এনে বুধবার (১৮ এপ্রিল) রাত্রে উপজেলা প্রকৌশলী ছৈয়দ জাকির হোছাইন বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
যাহার মহেশখালী থানার মামলা নং-৮৪/১৮।তারিখ-১৮/০৪/২০১৮ ইং।
আসামী গিয়াস উদ্দীন আযম মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পূর্ব জাগিরা ঘোনা গ্রামের মৃত মৌলভী মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ভারপ্রাপ্ত) শফিকুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ মহেশখালী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) সাড়ে ১১টার দিক গিয়াস উদ্দিন আযম উপজেলা পরিষদ ভবনের উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে তার ঠিকাদারী প্রকল্পের কাজের বিল ও চেক পাশ না করায় অফিসের সরকারী কাগজপত্র তচনছ ও সরকারী কাজে বাধাদানসহ উপজেলা প্রকৌশলীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী উধর্তন কতৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং মহেশখালী থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে পুলিশ বিকালে তাৎক্ষনিক উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অভিযান চালিয়ে গিয়াস উদ্দীন আজমকে আটক করে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ছৈয়দ জাকির হোছাইন জানান, গিয়াস উদ্দীন আজম একজন ঠিকাদার। প্রকল্পের কাজের টাকা নিয়ে মনোমালিন্যকে কেন্দ্র করে গিয়াস উদ্দীন আজম প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে তার অফিস কার্যালয়ে ঢুকে অফিসের সরকারী কাগজপত্র তছনছ ও সরকারী কাজে বাধাদানসহ তার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত)একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন,উপজেলা প্রকৌশলীর লিখিত এজাহার পেয়ে গিয়াস উদ্দীন আজমকে আটক করা হয়।এই ঘটনায় সরকারী কাজে বাধাদান ও হত্যা করার হুমকি দেয়ার অভিযোগে বুধবার রাত্রে উপজেলা প্রকৌশলী ছৈয়দ জাকির হোছাইন বাদি হয়ে গিয়াস উদ্দিন আযমকে একমাত্র আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেছে।