আধুনিক ও সুপরিকল্পিত কক্সবাজার বাস্তবায়ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন। তাই সুনির্দিষ্ট কিছু আইনদ্বারা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়। গোছালো পর্যটন বিকাশ করতে হলে আবাসন, রাস্তা-ঘাটসহ সকল স্থাপনা সংবিধিবদ্ধ নিয়মে করা বাঞ্চনীয়। কিন্তু কক্সবাজারের অধিবাসী, ব্যবসায়ী ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ সেসব বিধিমালা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। মহাপরিকল্পনাভূক্ত এলাকায় নিজস্ব জমিতেও কোন স্থাপনা করতে হলে ভিটার মাঝে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি ছেড়েই স্থাপনা করতে হবে। এসব আইন সম্পর্কে জানাতেই প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা পেশা ও শ্রেনীর মানুষের সাথে সভা-সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম করে আসছে কউক। গণমাধ্যমের সহায়তায়ও এসব বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন এলাকার কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কউকের প্রচারিত এসব আইন না মেনে নিজেদের ইচ্ছে মতো স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

খবর পেয়ে অফিসের পক্ষ থেকে সেসব এলাকায় গিয়ে আইন সম্পর্কে বুঝানোর পর কাজ বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি আইনের নির্দেশনা উল্লেখ করে দেয়া হয় নোটিশও। এরপরও কাজ না হলে দেয়া হয় চুড়ান্ত উচ্ছেদ নোটিশ। কিছু লোক চুড়ান্ত নোটিশকেও তোয়াক্কা না করে বিষয়টি রাজনৈতিক প্রভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চালায় আর অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ চালাতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু সবার জন্য আবারো বলতে চাই, কউক একটি সংবিধিবদ্ধ দূর্নীতিমুক্ত ও সহজলভ্য জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি তার প্রাতিষ্ঠানিক আইন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর।

আইনের ভেতর থেকেই ১৮ এপ্রিল শহরের বাহারছড়ায় কয়েকটি ইমারতের ব্যত্যয়কৃত অংশটুকু এবং কলাতলী এলাকায় সড়কের পশ্চিমাংশের অবৈধ স্থাপনা প্রতীকি স্বরূপ উচ্ছেদ/অপসারণ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যত পরিচ্ছন্ন কক্সবাজারের লক্ষ্যে বিগত এক বছরে বাহারছড়ার ইমারত গুলো সম্পর্কে অনেককে সতর্ক করা হচ্ছে। বুঝানো হচ্ছে ইমারত আইন সম্পর্কে। অনুরোধ করা হয়েছে নির্মিত, নির্মিতব্য বা নির্মাণ করা হবে এমন ইমারতের যথাযথ অনুমোদনের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তা কোন ভাবেই আমলে না নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। তাই বিধিমতে সর্বশেষ নোটিশ দেয়ার পরও তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়নি। নিরুপায় হয়ে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে অননুমোদিত ভবন গুলো অপসারণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

তাই, বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার বিরূপ মন্তব্য বা অযুক্তিক সমলোচনা করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

ইমারত আইন ও কউক সম্পর্কে কোন কিছু জানার ইচ্ছে থাকলে অফিস সময়ে কউক অফিসে যোগাযোগের অনুরোধ রইল।

কউক আশা করে, সকলস্থরের সচেতন নাগরিকবৃন্দ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কক্সবাজারকে একটি সুন্দর পরিকল্পিত নগর গঠনে সকলে সহযোগিতা দেবেন।

বিনীত

লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ

চেয়ারম্যান

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।