ইমাম খাইর, সিবিএন:
চিকিৎসা পেতে বিলম্বের অভিযোগে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে শেফায়েত হোসেন আরাফাত নামে ইন্টার্ণ চিকিৎসককে মারধর করেছে রোগীর স্বজনেরা। মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনায় দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘন্টা হাসপাতাল তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ঘটনায় তাওহীদ ইবনে আলাউদ্দিন নামে আরো একজন ইন্টার্ণ চিকিৎসক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগী ও স্বজনেরা। অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে বেসরকারী হাসপাতালে গিয়ে সেবা নিয়েছে। সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, ঘটনার পরই রোগীকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়ে রোগীর স্বজনেরা।এ কারণে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন মোহাম্মদ আবদুর রহমান বাদী হয়ে রোগী হাসান মাহমুদসহ অজ্ঞাতনামা ১২ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন।
প্রধান অভিযুক্ত আসামী হাসান মাহমুদ শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফেরার পথে আটক করেছে পুলিশ। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার।
এদিকে হাসপাতালে অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘন্টা চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়েছে। জরুরী বিভাগের প্রায় একঘন্টা বন্ধ ছিল। অন্য বিভাগেও একই অবস্থা দেখা দেয়। এ সময় হাসপাতালের জানালা দিয়ে রোগীদের ভেতরে ঢুকাতে দেখা যায়। অনেকেই দেখা গেছে, তাদের রোগীকে জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকাচ্ছে।
আহত ইন্টার্ন চিকিৎসক শেফায়েত হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে হাসান মাহমুদ নামে এক রোগী মুখে আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। রোগীর চাপের মধ্যে তাকে চিকিৎসা দিতে একটু দেরি হলেই চিকিৎসকদের ওপর হামলা শুরু করে ৪-৫ জন যুবক। মারার পরে তারা রোগীকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পু চ নু সিবিএনকে জানান, প্রায়ই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। যারা সেবা প্রদান করবে তাদেরকে কারণে-অকারণে মারধর করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।
কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার সিবিএনকে জানান, এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।