বিশেষ প্রতিবেদক :
টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর শিশু পুত্র আলী উল্লাহ আলো (৭) হত্যা মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আহমদের ছেলে দিদারুল আলম (দিদার মিয়া)কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ) আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক তামান্না ফারাহ।
২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বর্ডার গার্ড স্কুলের ছাত্র আলী উল্লাহ আলোকে (৭) নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় পিতা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলা নং জিআর-৩৭০/২০১১।
এ মামলার এজাহারনামীয় ৫ আসামীর মধ্যে সুমন ও নজরুল ইসলাম জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে। বাকী আসামীরা হলো- ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান, ইয়াকুব, মোহাম্মদ ইছহাক প্রকাশ কালু।
সুত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডিকে। তদন্তে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাফর আহমদের ছেলে দিদারুল আলম দিদার প্রকাশ দিদার মিয়া ও শাহপরীরদ্বীপের মাঝেরপাড়ার মাওলানা আবদুল জলিলের ছেলে মুহিবুল্লাহ নামে আরও দুই জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অভিযোগ ওঠেছে, বাদীর এজাহারে দিদার মিয়া ও মুহিবুল্লাহ নামে কোন আসামী ছিলনা। কিন্তু বিশেষ মহলের চাপে প্রভাবিত হয়ে তাদের আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কারান্তরীন দিদারুল আলম দিদার প্রকাশ দিদার মিয়ার ছোট ভাই টেকনাফ ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া জানান, প্রতিপক্ষ নির্বাচনে পরাজিত শক্তি ও চিহ্নিত ইয়াবা সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রে দিদার মিয়াকে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ’র ছেলে আলো হত্যা মামলায় চার্জশীটভূক্ত করা হয়েছে। অথচ দিদার ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামী ছিলনা। তিনি আরো দাবী করেন, আমার পিতা জাফর আহমদ বার বার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সর্বশেষ তিনি টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আমি সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমাদের এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত একটি মহল দিদার মিয়াকে আলো হত্যা মামলায় চার্জশীটভূক্ত করেছে। তিনি অবিলম্ভে দিদার মিয়ার মুক্তি দাবী করেন।