মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীর উপর সৎ মায়ের চরম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অত্যাচারে দুই ভাই ঘর ছাড়া হলেও চরম নির্মমতায় দিনপাত কারছে পুতু মনি (১৫) নামের এক কিশোরী। ঘটনার দিন রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় সৎ মা সেতারা বেগম মিথ্যা অভিযোগ তুলেন তার বিরুদ্ধে এবং পিতা শুরু করে অমানুষিক মারধর। এসময় প্রতিবন্ধী কিশোরীর বুক ফাঁটা কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ চিকিৎসালয়ে নিয়ে যায়। হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর মেধা কচ্ছপিয়া এলাকায়।
স্থানীয়রা জানায়, জন্মের পর বিগত দশ বছর পূর্বে প্রতিবন্ধী পুতু মনির মা মারা যায়। পরে পিতা আবদুস সালাম পার্শ্ববর্তী ডুলাহাজারা ইউনিয়ন থেকে পুনরায় বিয়ে করে। এতে শুরু হয় সন্তানদের উপর চরম নির্মমতা। অতিষ্ঠ হয়ে ঘর ছেড়ে শহরে পাড়ি দিতে বাধ্য হয় কিশোরীর দুই ভাই। পার্শ্ববর্তী লোকজন আরো জানায় প্রতিবন্ধী পুতু মনির উপর প্রায়শই অত্যাচার লক্ষ্য করা গেছে। বর্ণিত সময়ে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সৎ মা সেতারা বেগম ওই কিশোরী কন্যার সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে আবদুস সালাম ঘরে আসলে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরেন। পিতা সত্যমিথ্যা যাচাই না করে বড় আকৃতির লাঠি দিয়ে শুরু করে এলোপাথাড়ি মারধর। অমানুষিক মারধরে প্রতিবন্ধী কিশোরী কন্যার বুক ফাটা আত্ম চিকিৎকার শুনে দুরদুরান্ত থেকে লোকজন এগিয়ে আসে। তারা আহতকে মরণদশা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় মেম্বারকে খবর দেয়। এসময় সে বারেবারে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছে বলেও জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
খুটাখালী ইউনিয়নের (১নং ওয়ার্ড) মেধা কচ্ছপিয়া এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ ছলিম উল্লাহ ঘটনার সত্যতা জানান। তিনি বলেন এলাকায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে চরম মারধর করে অত্যচার করছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আহতাবস্থায় কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ইউপি সদস্য আরো জানায় জন্মের পর কিশোরী মাকে হারায়। তারপর থেকে অসহায়ত্ব জীবনযাপন করছে সে। প্রতিবন্ধী কিশোরীর হাঁটাচলা করতে অত্যন্ত কষ্ট হয় বলেও জানান তিনি।