মুফিজুর রহমান, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন উপজাতীয় পল্লীতে ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই পোয়ে বা জলকেলি (পানির খেলা) উৎসব রবিবার থেকে শুরু হয়ে সোমবার বিকালে শেষ হবে। এ উৎসবের মধ্যে দিয়ে পূরনো বছরকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি উপজাতীয় পল্লীর বাসিন্দারা নতুন বছরকে স্বাগত জানাল। জলকেলি উৎসবকে কেন্দ্র করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর সহ রাবার শিল্প নগরী বাইশারীর উপজাতীয় পল্লী গুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। চলছে জলকেলি উৎসব।

উপজাতীয় তরুর তরুনীরা একে অপরকে পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে পুরনো বছরের সব পাপ, গ্লানি, ক্লান্তি আর অসংগতি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। উপজাতীয় সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ এ সামাজিক উৎসব দেখতে তাদের সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশাপাশি এলাকাবাসীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজাতীয় পল্লী।

রবিবার বিকেল থেকে নানা রঙে নিজেদের রাঙিয়ে নেচে-গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করছে উপজাতীয় তরুন-তরুনীরা। প্রচন্ড গরমেও উৎসবে ভাসছে ওই সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সী লোকজন। সবারই লক্ষ্য সাংগ্রে পোয়ে অর্থ্যাৎ জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে পুরনো দিনের সব গ্লানি-দুঃখ-বেদনা ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বাসিন্দা মংহ্লাগ্য মার্মা বলেন, জলকেলি উৎসবের জন্য পুরো একটি বছর অপেক্ষায় ছিলাম। এ উৎসবের শেষ দিন সত্যি বেশ মজা করছি।

উপজেলার বাইশারী, সোনাইছড়ি, ঘুমধুমের উপজাতীয় পল্লী ঘুরে দেখা যায়, ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর তরুন-তরুনীরা নতুন ও আকর্ষনীয় পোষাক পরে সেজেগুজে উপজাতীয় পল্লীতে তৈরী করা জলকেলি উৎসবের প্যান্ডেলে গিয়ে একে অপরকে পানি ছুড়ে আনন্দ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি চলছে নাচ-গানের আসর। ঢাকঢোল আর কাঁসার তালে তালে নেচে আনন্দ প্রকাশ করছে সবাই।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পরিদর্শক মোঃ আলমগীর শেখ বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উপজাতীয় পল্লীর জলকেলি উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে প্রতিটি উপজাতীয় পাড়ায় ইতিমধ্যে পুলিশী টহলও জোরদার করা হয়েছে।