সংবাদদাতা:
অবশেষে ইয়াবা গডফাদার খ্যাত সিন্ডিকেটের সদস্য কোস্টগার্ড কতৃক মামলার আসামী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ি। ১৪ই এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে সেন্টমার্টিন পশ্চিম সৈকত থেকে আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

উল্লেখ, গত ১৪/০৩/২০১৮ইং এবং ১৭/০৩/২০১৮ইং তারিখ টেকনাফ মডেল থানায় মামলা ২টি দায়ের করেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টেকনাফ জোনের পেটি অফিসার আব্দুল মালেক।

উক্ত মামলার আসামীরা হলেন সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান দুই মেম্বারসহ মোট ৫ জন। মামলার আসামীরা সকলেই একই পরিবারের আপন ৫ ভাই। তারা বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদের আপন শ্যালক ও সুমন্দি হয়।

টেকনাফ মডেল থানায় দাখিলকৃত মামলা নং – প্রথমটি ২৫ ও দ্বিতীয়টি ৩১। ধারা ১৯(১), ৯(ক)/২৫।

এতে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন পশ্চিম-উত্তর সাগড় পাড় এলাকায় অভিযান চালানো হলে পার্শ্ববর্তী ঝাউবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় এক লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।এতে মামলার উক্ত আসামীরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

মামলার আসামীরা হলেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রউফ, ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু বক্কর ছিদ্দিক, ইলিয়াছ, সিরাজ ও আয়াছ। তারা সবাই ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল জলিলের ছেলে।

বর্তমানে সেন্টমার্টিনে ইয়াবা আমদানির প্রধান গডফাদার দুই ইউপি মেম্বারসহ বাকী ৪ আসামীরা পালাতক রয়েছে।

আসামীরা প্রথম দিকে নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করে একটি ষড়যন্ত্র মামলা বলে কক্সবাজার ও হাইকোর্ট থেকে অনুপস্থিতিতে একাধিকবার জামিন চান। আদালত তাদের জামিন না মন্জুর করেন।

উল্লেখ যে, আব্দু রউফ মেম্বারকে শিরোনাম করে এই পরিবারকে নিয়ে আগে থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া ইত্যাদিতে অবৈধ মাদকদ্রব্য কারবারি হিসেবে সংবাদ প্রকাশনা হয়ে আসছে। তাদের ইয়াবা সম্রাজী দাপটের কারণে কেউ কিছু বলতে পারত না। সর্বদা তারা আইনের প্রশাসন, সাংবাদিক ইত্যাদি জনকে কালো টাকায় তাদের কুকর্ম, অবৈধ মাদক বানিজ্যের কাজগুলো আড়াল করে দেওয়ার প্রচেষ্টায় থাকত।

এই অবৈধ মাদকদ্রব্য কারবারিদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড কতৃক মামলা হওয়াতে দ্বীপবাসী তথা সুশীল সমাজ সন্তোষ প্রকাশ ও পেটি অফিসার আব্দুল মালেককে ধন্যবাদও জানিয়ে ছিলেন।

যতদ্রুত সম্ভব অনতিবিলম্বে বাকী পালতক আসামীদের গ্রেপ্তার করে যথাযথ শাস্তি প্রদান করতে ফের জোর দাবি জানিয়েছেন দ্বীপবাসী।