সোয়েব সাঈদ, রামু :

কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কক্সবাজারের রামু উপজেলার পচিশ জন স্বাস্থ্যর্কমীর চাকরি প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ ১২ এপ্রিল ৫৫৩০/২০১৭ নং রিট আবেদনে এ রায় দিয়েছেন আদালত।বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। এই রায়ের মধ্যমে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের পথ সুগম হলো বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ব্যরিস্টার মাসুদ আক্তার।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার ১৯৯৬ সালে সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করে। এর আওতায় সারা দেশে ১০ হাজার ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের কারণে এ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি) নামে নতুন প্রকল্প নেয়। এ প্রকল্পের আওতায় আগের ১০ হাজার ক্লিনিক সংস্কার করে এবং নতুন আরো সাড়ে তিন হাজার ক্লিনিক স্থাপন করে। সব মিলে সাড়ে ১৩ হাজার ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। ২০১১ সালে এসব ক্লিনিকের প্রতিটিতে একজন করে সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য প্রকল্পে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে এর মেয়াদ আরো দুই বছর অর্থাৎ ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাঁদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সুপারিশ করে তা বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। ২০১৬ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সাড়ে ১৩ হাজার সিএইচসিপিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি) প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়। তাদের ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রকল্পে স্থানান্তর করে। কিন্তু তাঁদের নতুন প্রকল্পে স্থানান্তরের আগেই রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। মো. সহিদুল ইসলাম ও কামাল সরকারসহ ১০ জনের করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ২২ মার্চ ২০১৭ সালে এক রায়ে রিট আবেদনকারীদের (১০ জন) চাকরি রাস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের রামু উপজেলোর পক্ষে এসএম রেজাউল করিম গত ১২ এপ্রিল ২০১৭ সালে মহামান্য হাইকোর্টে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ১২ এপ্রিল ২০১৮ সালে রায় দিলেন হাইকোর্ট।