নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালী পৌরসভার ঘোনাপাড়ায় এক যুবককে সকাল নয় টায় (বৃহস্পতিবার) মারাত্মকভাবে আহত করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত যুবকের নাম তোফায়েল আহমদ। তিনি ঘোনাপাড়া জাফর আলম সওদাগরের পুত্র। পেশায় একজন গ্রামীণফোন কোম্পানীর সেলসম্যান। অপরদিকে অভিযুক্ত সদ্য মালেয়েশিয়া প্রবাসী আবছার ঘোনাপাড়ার মোঃ আবুল হাসেমের প্রথম পুত্র।
এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তার উভয়েই নিকটাত্মীয় এবং একই গোত্রের। কিছু জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের অতীত আছে। অতীতের মনোমালিন্য মান-অভিমান থেকে সহিংস ঘটনায় রূপ নেয়। কয়েকদিন আগেও তাদের অভিভাবকের মাঝে হাতা-হাতির মত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। পরে এটা মিমাংসার জন্য স্থানীয় মেয়র মকছুদ মিয়ার কাছে বিচারাধীন আছে বলে এক নিকটতাত্মীয় জানান।
আহত যুবকের ভাই আয়াছুর রহমান জানান, আহত তোফায়েল প্রতিদিনের মত সকালে গ্রামীণফোনের রিচার্জ বিক্রির উদ্দেশ্যে বের হয়ে ঘটিভাংগা থেকে ফিরে গোরকঘাটা বাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘোনাপাড়া রাস্তার মোড়ে রাস্তার পাশে বাড়ি হওয়ায় তোফায়েলকে একা পেয়ে চলন্ত মোটর সাইকেলে লোহার রডের আঘাতে মাটিতে ফেলে দেয় আবুলহাসেমের পুত্র আবছার। পরে তার পরিবারের আরো লোকজন দা-ছোরা নিয়ে জড়ো হয়ে রাস্তায় সবার সামনে মারধর করে মারত্মক জখমি করে বেহুঁশ অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তোফায়েলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে সদর হাসপাতালে সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। মাটিতে ফেলে রাখা অবস্থায় তার ব্যবহৃত স্ক্রিন টাচ মোবাইল, কোম্পানীর একটি ট্যাব, রিচার্জের নগদ সত্তর হাজার টাকাও রিচার্জ মোবাইল নিয়ে নেয় বলে দাবী করেন আয়াছ।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আবছারের পিতা আবুল হাসেম সবই জানে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ছেলেকে দিয়ে নিরাপরাধ তোফায়েলকে পরিকল্পিতভাবে বিচারধীন থাকাবস্থায় ঘটনাটি ঘটায়। এবিষয়ে কথা হয় আবছারের পিতা আবুল হাসেমের সাথে তিনি মোবাইলে বলেন, ঘটনাটি সত্য, তবে অনেক কিছু সত্য নয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, এবিষয়ে এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।এবিষয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন মুরব্বি ও নেতৃস্থানীয় লোকজনের বক্তব্য অভিমত-একই স্থানে থাকলে নিজেদের মধ্যে অনেক কিছু হয়। তার জন্য বিচারের জন্য দুয়ারে দুয়ারে না ঘুরে নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করতে পারলেই সম্মান ও আত্মীয়তা দুটিই রক্ষা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।