ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলায় স্কুল ছাত্রী সহ ১০ নারীপুরুষ আহত হয়েছে। থানা পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

বুধবার (১১এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচোরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুল কবির, মৃত মোজাফফর আহমদের ছেলে তাজুল ইসলাম, নুরুল আলম প্রকাশ বাদশাহ, তাজুল ইসলামের মেয়ে ও উজানটিয়া জুনিয়র হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী তাহিয়াতুল জান্নাত, জিয়াবুল করিমের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম, মেয়ে ইফাত, মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী গুলতাজ বেগম,  আজিজুর রহমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, আজিজুর রহমানের ছেলে আবু ছালেক ও মৃত ছমি উদ্দিনের ছেলে আজিজুর রহমান। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জনিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

স্থানীয়রা জানান, একই এলাকার শফিকুল ইসলাম গং ও আজিজুর রহমান গংয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আদালতে মামলা চলমান। বিচারাধীন এ মামলায় জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করে আদালত। বুধবার পেকুয়া থানার পুলিশ গিয়ে এ আদেশ অবগত করে যায় উভয়পক্ষকে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যাওয়ার পরপরই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ।

আহত তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ চলে যাওয়ার পরে বিনা উস্কানিতে আমাদের উপর হামলা চালায় আজিজুর রহমান গংয়ের লোকজন। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে আমার পরিবারের ৭ সদস্যকে আহত করে তারা। একই এলাকার হাজী আতর আলীর ছেলে আমির উল্লাহ্‌ ও আব্দুর রহিমের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে এ হামলা আবুল কালাম, আবু ছালেক বাদশা, তমজিদ, আজিজুর রহমান ও রুমি আক্তার সহ ১৫-২০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী অংশ নেয়।

পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শিমুল বড়ুয়া বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের উত্তেজনা প্রশমিত করতে সরেজমিন গিয়ে উভয়পক্ষকে আদালতের আদেশ অবহিত করতে যাই। কিন্তু এর আধাঘণ্টার মধ্যেই তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।