বিশেষ প্রতিবেদক :

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ফিশিং বোটের মাঝিমাল্লাদের মারধর ও জাল লুটের ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়ত নিরীহ মাঝিমাল্লাদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বড় ট্রলিগুলোর মাঝি নামের ডাকাতরা জাল লুটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজর না থাকায় দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে ট্রলিরগুলোর লোকজন।ফলে সাগরে জীবনবাজি রেখে মাছ আহরন করা মাঝিমাল্লারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রলি কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ফিশিং বোটের মাঝি-মাল্লারা।

সূত্রে জানা যায়, গভীর সাগরে মাছ ধরার কথা ট্রলির। কিন্তু এসব ট্রলি বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরারত ফিশিং বোটের ক্ষতি করেই যাচ্ছে। এসব ট্রলিগুলো সাগরে মাছ ধরারত বোটগুলোর জাল গুলো কেটে নেয় এবং এর প্রতিবাদ করলে উল্টো মারধর করা হয়। এছাড়া মাছ ও তেল লুটের ঘটনাও ঘটছে হরহামেশা। সম্প্রতি কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার আরাফাত এফ ফিশিং বোট সাগরে মাছ ধরতে যায়। আর সেখানে তার মূল্যবান ফিশিং বোটের জাল গুলো কেটে নিয়ে যায় চট্টগ্রামের এফভি শাহপুরী-১ নামের ট্রলির দুর্বৃত্তরা। এর প্রতিবাদ জানালে বোটের মাঝি-মাল্লাদের মারধর ও হুমকি দেয়। ফিশিং বোটের লুট হওয়া জালের মূল্য আনুমানিক প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন বোটের মাঝি। এ বিষয়ে এফভি শাহপুরী-১ এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালে,তাঁরা উল্টো নানা ধরণের হুমকি প্রদান করে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি আরাফাত এফ বোটের মাঝি নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুইন্না মাঝি জানান,শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে সাগরে মাছ আহরন করা অবস্থায় চট্টগ্রামের এফভি শাহপুরী-১ নামের ট্রলিটি এসে সাগরে থাকা জালগুলো মাছসহ কেটে নিয়ে যায়।এসময় প্রতিবাদ জানালে ট্রলিতে থাকা জেলে নামের ডাকাতগুলো অস্ত্র উঁচিয়ে আমাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে জালগুলো নিয়ে যায়।তিনি আরো বলেন,প্রতিনিয়ত আমরা বড়বড় ট্রলিগুলোর ডাকাতদের হাতে নির্যাতনের শিকার হই।প্রশাসন জোরালো ভুমিকা না রাখলে ট্রলিগুলোর ডাকাতদের অত্যাচারে আমাদের পক্ষে মাছ আহরন করা কঠিন হয়ে পড়বে।তাছাড়া বোট মালিকরা কুলে আসলে আমাদের থেকে লুট হওয়া জালের ক্ষতিপুরন নেয়।আমরা শ্রমিক মানুষ ,যেখানে ঘর সংসার চালানোর টাকা নেয়,সেখানে ক্ষতিপুরন কোত্থেক থেকে দেবো।