ডেস্ক নিউজ:
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঘাড় ও হাড়ের ক্ষয় রোগে ভুগছেন। সম্প্রতি এক্স-রে পরীক্ষায় বেগম জিয়ার ঘাড় ও কোমরের হাড়ের কিছু পরিবর্তন ধরা পড়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এ রোগটিকে ডিজেনারেটিভ অষ্টিওঅর্থোপ্যাথি ইনভলববিং সার্বিকেল অ্যান্ড লাম্বার স্পাইন বলা হয়। বয়স ও বিদ্যমান ঘাড় ও কোমর- এ দু‘টি হাড়ের ক্ষয়রোগজনিত কারণে বেগম জিয়ার স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও উঠাবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি ওষুধ খেয়ে ভালো না হলে তাকে বাইরের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হতে পারে। তবে বেগম জিয়ার রুটিন বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো।

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।

বোর্ডের ওই সদস্য জানান, কারা অধিদফতরের পাঠানো সিলগালা করা এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করতে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা (নিউরোলজির মনসুর হাবীব, মেডিসিন বিভাগের টিটু মিয়া ও এবং ফিজিক্যাল মেডিসিনের সোহেলী রহমান) আজ বসেছিলেন।

বিএসএমএমইউ’র ল্যাবরেটরি থেকে প্রাপ্ত এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষা পর্যালোচনা করে তারা মতামতসহ প্রতিবেদন তৈরি করে হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিনের কাছে জমা দেন। হাসপাতাল পরিচালকের মাধ্যমে আগামীকাল তা কারা অধিদফতরে পাঠানো হবে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ঢামেক হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগ ও মেডিকেল বোর্ড প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুজ্জামান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার হাড় ও কোমরের হাড় বেড়েছে।

ইতোপূর্বে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা শুনে বোর্ড সদস্যরা ওষুধ লিখে এবং ব্যায়াম করার পরার্মশ দেন। শুধু তাই নয়, বেগম জিয়ার সঙ্গে যে মহিলা থাকছেন তাকে শারীরিক ব্যায়াম কিভাবে করতে হবে তা দেখিয়ে দেন। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে কারা মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।