সিবিএন ডেস্ক:
ভারতের হিমাচল প্রদেশের কাংরা উপত্যকায় সোমবার বিকালে একটি স্কুলবাস গভীর খাদে পড়ে ২৭ জন শিশুসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন।

বাসটিতে প্রায় ৪০ জনের মতো যাত্রী ছিলো বলে জানা গেছে। যাদের অধিকাংশের বয়স ১০ বছরের নিচে।

এই দুর্ঘটনায় বাসের চালক এবং দুইজন শিক্ষকও নিহত হন।

পুলিশ জানায় হয়, সরু পাহাড়ি রাস্তায় খুব জোরে বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক। একপর্যায়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে মেটি পাহাড়ি রাস্তার লাগোয়া ১০০ ফুট গভীর খাদে গিয়ে পড়ে।

হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শিমলা থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে কাংরার নুপুর টাউনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর দ্রুতই আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে আসে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র সদস্যরা।

তারা বাসে আটকে পড়া কয়েকটি শিশুকে উদ্ধারও করেন। আহত শিশুদের ৯০ কিলোমিটার দূরে পাঠানকোট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাসটি একটি বেসরকারি স্কুলের। স্কুলটির নাম- ‘ওয়াজির রাম সিংহ পাঠানিয়া মেমোরিয়াল পাবলিক স্কুল’। বাসটিতে ছিল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা।

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেছেন, ‘‘মুখ্যসচিবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তার পরেই এনডিআরএফ-কে ডাকা হয়েছে। রাজ্য সরকার এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।’’

মৃত ও আহত শিশুদের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে হিমাচল প্রদেশ সরকার।