৯ এপ্রিল দৈনিক সৈকত ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত মৃত গরুর মাংস গেল কক্সবাজারের হোটেল বিয়ে ও বাড়িতে শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।প্রকাশিত সংবাদটি সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। যার বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই উল্লেখিত সংবাদে যে গরুটি মৃত বলা হয়ছে সম্পুর্ন ভুঁয়া।এমন কি পোকখালী মুসলিম বাজারে মাংস বিক্রির যে কথা বলা হয়েছে তা হাস্যকরে পরিনত হয়েছে। এদিন মুসলিম বাজারে কোন ধরনের মাংস বিক্রি হয়নি।মুল কথা হচ্ছে ঐদিন গরুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গৃহস্থ আমাকে ডেকে নিয়ে গরুটি বিক্রয় করার কথা বলে। দর নির্ধারণ করে গরুটি ক্রয় করে স্থানীয় এক মৌলভীর মাধ্যমে জবাই করে স্থানীয় কালা পুতু, জোবাইদা,শাহেদ,ইলিয়াছ,রোকসেনা সহ আরো কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এক কেজি করে মাংস ক্রয় করে।বাদবাকি মাংসগুলো অন্যত্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়।এখন আমাদের প্রশ্ন স্থানীয় যারা ঐ গরুর মাংস ক্রয় করেছে তারা কি মৃত গরু হলে মাংস নিত? মুসলিম বাজারের বিক্রি করার বিষয়টি সত্য নয়।কারন এ বাজারে গরু-মহিষ জবাই করার আগের দিন বাজারে প্রদক্ষিণ ও পরিচালনা কমিটিতে গরু মহিষ গুলো দেখাতে হয় এমন কি দুপুর ১২ টার পর কোন ধরনের মাংস বিক্রি করা হয় না। অহেতুক বাজারে বিক্রি করা হয়েছে মর্মে ঐতিহ্যবাহী একটি বাজারের সু-নাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে।নির্বাচিত বাজার পরিচালনা কমিটি থাকা সত্বেও কারো বক্তব্য নেওয়া হয়নি।আর সংবাদে আমাকে কসাই উল্লেখ করা হয়েছে অতচ আমি একজন প্রতিষ্টিত গরু ব্যবসায়ী হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। গরুর মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে পুলিশ এ বিষয় বানোয়াট। গরুর মালিক এ বিষয়ে কোথাও অভিযোগ দায়ের করেনি।আর আমার নেতৃত্ব দুর দুরান্ত থেকে অসুস্থ ও মৃত গরু এনে রাতের আধাঁরে জবাই করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে তাও সম্পুর্ন বানোয়াট। আমি গরু ব্যবসায়ী কেন আমি জবাই করব? আর হক টাকা দিয়ে কেন অসুস্থ এবং মৃত গরু ক্রয় করব?। প্রকাশ্য দিবালোকে শতশত জনগনের সামনে জীবিত গরু জবাই কে কেন্দ্র স্থানীয় কিছু ব্যক্তি মৃত গরু জবাইয়ের বাহনা তুলে আমাদের কাছে মোটা অংক দাবী করেছিল। আমরা না দেওয়ায় সংবাদকর্মী ও প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।প্রকাশিত সংবাদে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আর কারো মোবাইল ফোনে দেওয়া তথ্য নিয়ে সংবাদ পরিবেশন না করে ঘটনাস্থলে এসে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যসহ সংবাদ পরিবেশন করার অনুরোধ রইল।

প্রতিবাদকারী
মোঃ মুজিবুর রহমান
পিতা- মোহাম্মদ হোছাইন
সাং মধ্যম পোক খালী,পোকখালী, সদর কক্সবাজার।