ফারুক আহমদ,উখিয়া :

উখিয়ায় পিএফ জায়গায় জবর দখল নিয়ে দিন দিন সংঘাত বেড়েই চলছে। দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, হতাহত ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে থানা এবং আদালতে একাধিক মামলাও দায়ের হচ্ছে। এতে আসামী সংখ্যাও কম না। রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী মহলেরও রয়েছে পক্ষে-বিপক্ষে ইন্দন।প্রতিদিন জায়গা জবর দখলের সংঘঠিত ঘটনা নিয়ে থানায় একাধিক অভিযোগ আসছে। এ নিয়ে পুলিশ ও বিব্রত।

জানা যায়, মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ২৫ আগষ্ট থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আগমন শুরু হয়।লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং সহ ১২টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার পর স্থানীয় ভাবে জায়গা জমির মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। বিশেষ করে বন ভুমির পিএফ জায়গার কদর বেড়ে যায়।

অভিযোগে প্রকাশ উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের নিউ ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় নজু মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছে। ১৯৯৮ সালে ৮০ শতক জায়গা ক্রয়কৃত পিএফ জায়গা করে ভোগ দখল করার পর একটি বাড়ি তৈরী করতে চাইলে প্রতিপক্ষ গং বাধা প্রদান করে।

নজু মিয়ার ছেলে মো: ইদ্রিস সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, নিজের ভোগ দখলীয় জায়গায় একটি টিনের ঘর তৈরি কালে গত ১ এপ্রিল প্রতিপক্ষ গং ইলিয়াছ ও তার বাহিনী তান্ডব চালিয়ে ভাংচুরের অপচেষ্টা সহ জায়গা জবর দখলে মহড়া দেয়। এসময় বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিবার পরিজনের উপর হামলা চালায়। এতে বয়োবৃদ্ধ নজু মিয়া, ছেলে ইদ্রিস সহ অনেকেই আহত হয়। তিনি আরও বলেন, জায়গা জবর দখল করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইলিয়াছ বাদী হয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করেছে।

স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানায়, উক্ত পিএফ জায়গা জরব দখলের ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ সহ অন্তত ১০জন আহত হয়। শুধু তাই নয় বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী ঘটনায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় আশাংখা রয়েছে।

উখিয়া থানার ডিউটি অফিসার জানান, পিএফ জায়গা জবর দখলের ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মামলা রুজু হয়েছে। আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।