আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও পুলিশের অভিযানে ছিনতাইকৃত মিনি পিকআপ উদ্ধার হলেও চিহ্নিত ছিনতাইকারী চক্র রহস্যময় কারণে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। বরং ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার কারণে স্থানীয় ছিনতাই ও অপহরণ সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে না বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়,ঈদগাঁও পুলিশের এএসআই জয়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত আরতি ডাক্তারের ছেলে চন্ডি আচার্যের বাড়ি থেকে বিগত এক সপ্তাহ পূর্বে নাম্বার বিহীন একটি মিনিপিকআপ উদ্ধার করে। ঐ সময় বাড়িতে ছিলনা চন্ডি আচার্য । পুলিশ উদ্ধারকৃত গাড়ির মালিক ও ছিনতাইয়ের ঘটনার রহস্য উদঘাটনে এ পর্যন্ত ফলপ্রসূ কোন অগ্রগতি করতে পারেনি রহস্যময় কারণে । এমনকি যার বাড়িতে গাড়ী পাওয়া গেছে তাকেও আটক করতে পারেনি।বিভিন্ন সুত্রে প্রকাশ, গাড়িটি এর পূর্বে পাহাশিয়াখালী সিকদার পাড়ার ফিরোজ নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে রেখেছিল ছিনতাই চক্র । লোক মুখে ছড়িয়ে পড়ায় চিহ্নিত ছিনতাইকারী চক্র গাড়িটি সরিয়ে চন্ডির বাড়িতে রাখে। সচেতন মহলের প্রশ্ন দিবালোকের মতো স্পষ্ট গাড়ি উদ্ধার ঘটনার কেন্দ্রস্থল চন্ডি আচার্যকে এ পর্যন্ত পুলিশ কেন আটক করেনি। তাকে আটক করলেই বেরিয়ে আসত ছিনতাই ও অপহরণ চক্রের আসল মুখোশ। এক্ষেত্রে জনসাধারণ পুলিশের রহস্যময় আচরণকে দায়ী কর়ছে। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা জয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, উদ্ধারকৃত গাড়িটি খুরুষ্কুলের এক সনাতন ধর্মাবলম্বী মেম্বারের বলে দাবি করলেও তাদের উপযুক্ত কাগজ পত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে । উদ্ধারের দিন রাতে মোবাইল ফোনে চন্ডি গাড়িটি তার আত্মীয়ের বলে জানিয়েছে। তবে ঐ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান। তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ পরিদর্শক মিনহাজ মাহমুদ ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করা বলেন,এক ব্যক্তি গাড়িটির মালিক দাবি করলেও তাকে যথাযথ কাগজ নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তবে ঐ ঘটনায় গা ঢাকা দেয়া উদ্ধারস্থলের মালিক চন্ডিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান। এলাকার সচেতন মহলের অভিমত, গাড়িটি দূরবর্তী কোন জায়গা থেকে ছিনতাই করে আনা হতে পারে। যেহেতু গাড়িটি চন্ডির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। সেহেতু ছিনতাই চক্রের সাথে তার যোগসাজশ থাকতে পারে । তবে উদ্ধারের পর ছিনতাই চক্র কতিপয় দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের লেনদেনে কৌশলে নাম্বার বিহীন এ গাড়ীটির মালিক ভিন্ন ব্যক্তিকে সাজিয়ে যেন তেন ভাবে পুলিশ থেকে ছাড়িয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পারে বলে তাদের আশংকা । তাই তারা ছিনতাইকারী চক্রের মুখোশ উন্মোচনে পুলিশের কঠোর ভুমিকা কামনা করছেন। ছিনতাই সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠা চন্ডির মোবাইলে বারবার কল দিলেও নাম্বার ফরওয়ার্ড করে রাখায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।